হৃদিতা ও সিলেটের হযরত শাহজালাল রহ. মাজারে একদিন: পূজা চেরী
সময় সংগ্রহ :
ছোট জীবনে দেশে-বিদেশে অনেক জায়গায় অভিনয় করিছি । কিন্তু কখন কোন মাজার এ শুটিং করিনি । আমাকে জানানো হল- ১৫ই জুন আমার শুটিং সিলেটে। আমার ভিতর ভয় ও এক্সাটিং দুটাই কাজ করছে। ছোট বেলা থেকে অনেক গল্প ও মিথ শুনেছি।
সকাল ৮:০০ টায় ফ্লাইট। খুব ভোরে উঠে গোসল করে, রেডি হয় এয়ারপোর্ট গেলাম। আমার সাথে যাচ্ছি ইস্পানি ভাই, আরিফ ভাই, এবিএম সুমন ভাই, জামান ভাই, মিনু আপু’সহ আরও অনেকে ।
সিলেটে এয়ারপোর্ট নেমেই সেলফি শিকারে পড়লাম। ওখানে অনেকেই আবার আমাকে পরী পরী (পোড়ামন এর নাম) ডাকতে লাগলো। এয়ারপোর্ট থেকে একটা হোটেলে নিয়ে গেল। সেখানেই আমার আর সুমন ভাইয়ের মেকাপ হলো। শুটিং এ আমার ড্রেস হল শাড়ী।
শুটিং এর জন্য রেডি। আমাকে ডাকা হল মাজারে। মাজারের কাছে এসে একটু দাঁড়ালাম। আমি জানি না কিভাবে মাজার জিয়ারত করতে হয়। ভিতরে ঢুকার সময় কি বলতে হয়। একটু দাড়িয়ে শুধু মনে মনে বললাম “আমি যদি কোন ভুল করি, সেটা হবে আমার অজ্ঞতার কারণে, তাই আমাকে মাফ করবেন”। এইটুকু বলে- ডান পা দিয়ে মাজারে ডুকলাম। সুন্দর ভাবে শুটিং শেষ হল। আমার পরিচালকদ্বয় খুব খুশি। আমার অনেক প্রশংসা করতে লাগলো (কেউ আমার প্রশংসা করলে আমার ভালো লাগে)। আমরা সবাই আবার হোটেলে ফিরলাম। সুমন ভাই’সহ ইউনিটের সবার কোথায় জানি দাওয়াত আছে। আমাকে অনেক যেতে বললো। আমি গেলাম না। আমি আর আমাদের মেকাপ আর্টিস্ট মিনু আপু রয়ে গেলাম। কারণ মনে মনে আমার অন্য প্ল্যান আছে।
সবাই দাওয়াতে চলে গেলে। আমি আর মিনু আপু বললাম চলো মাজারে যাবো আবার। উনি অনেক বার এসেছে। আমি বললাম “আপু আমি আগে কখনো আসি নাই, আবার কোন দিন আসার সুযোগ পাবো কিনা জানি না। আমি একটু দোয়া চাইতে যাবো। উনি রাজি হলেন।
আমরা দুইজন মাজারে যাই, আমি মনে মনে দোয়া চাইলাম (কি চেয়েছি, সেটা নাকি বলতে হয় না কাউকে)। বাসার জন্য সিন্নি কিনলাম।
অতঃপর রাত ৮:০০ টার ফ্লাইটে ঢাকা চলে আসলাম। সাথে এক রাশ হযরত শায়জালাল রহ. মাজারে স্মৃতি, ভালোলাগা, আবেগ নিয়ে আসলাম।