সিলেটের জল্লারপাড়ে হবে প্রাকৃতিক বিনোদন কেন্দ্র : মেয়র আরিফ
নগর সংবাদদাতা :
সিলেটের জল্লারপাড়ের ‘জল্লা’ হবে সিলেট নগরীর সবচেয়ে আকর্ষনীয় প্রাকৃতিক স্থান। নগরীর মাঝখানে অবস্থিত বৃহৎ এই জলাশয়কে পরিচ্ছন্ন করে উম্মুক্ত করা হবে। জলাশয়টি সংরক্ষণে চারপাশে রিটেইনিং ওয়াল এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। এসব কথা জানিয়েছেন- সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
সিসিক মেয়র বলেন- ৫ একর আয়তনের এই জলাশয়টি উন্নয়নের কাজ আমরা শুরু করেছি। পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি সিলেট জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বৃহত্তম এই জলাশয়টি দখলমুক্ত করা হবে। এরই মধ্যে জল্লার পশ্চিম পাশের ছড়ায় রিটেইনিং ওয়াল, ড্রেন ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুন) সকালে জলাশয় সংরক্ষণের লক্ষ্যেই সিসিক জল্লার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করে।
সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী বলেন- প্রকৃতিকে সংরক্ষণের মাধ্যমে সিলেট নগরীর অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সিসিক কাজ করছে। জল্লা পরিচ্ছন্নতা ও উম্মুক্তকরণ প্রকল্পে একদিকে যেমন জলাশয় সংরক্ষণ হবে, অন্যদিকে নগরবাসী আরেকটি প্রাকৃতিক বিনোদন কেন্দ্র উপহার পাবেন।
সিসিক’র প্রধান প্রকৌশলী মো. নূর আজিজুর রহমান বলেন- জলাশয় সংরক্ষণকে প্রাধান্য দিয়ে জল্লার উন্নয়ন পরিকল্পনা করা হচ্ছে। চারদিকে ওয়াকওয়ে নির্মাণ এবং নাগরিকদের বসার ব্যবস্থা রাখা হবে এই প্রকল্পে। জল্লার আবর্জনা পরিষ্কার ও খনন করে এটিকে প্রথমে জলাশয়ে পরিণত করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারের যুগ্ম-সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী, সিসিক’র প্রধান প্রকৌশলী মো. নূর আজিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলী আকবর, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুল দহক পাটোয়ারী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফুর রহমান, মাননীয় মেয়রের সহকারী একান্ত সচিব মো. সোহেল আহমদ, সহকারী প্রকৌশলী তানভীর আমহদ তামিম, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ প্রমুখ।