সিরাজগঞ্জে তরুণীকে চলন্ত ট্রাকে ধর্ষণ : গ্রেপ্তার ২
সময় সিলেট ডেস্ক :
ঢাকা-টাঙ্গাইল-সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে চলন্ত ট্রাকে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ট্রাকচালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের কড্ডার মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্তরা হলেন- ট্রাকচালক সোহেল রানা (৩২) ও হেলপার আব্দুল ওয়াহাব। কে আটক করে পুলিশ। এ সময় ট্রাকের কেবিন থেকে নির্যাতিতা ওই তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ট্রাকচালক সোহেল রানা বগুড়া সদর উপজেলার আশাখোলা গ্রামের মুনসুর আলীর ছেলে ও হেলপার আব্দুল ওয়াহাব বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার জহুরুল ইসলামের ছেলে। রাতেই এ ঘটনায় অভিযুক্ত ট্রাকচালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
এদিকে, অপরাধীদের আদালতের মাধ্যমে বুধবার সকালে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তারা পুলিশের কাছে অপরাধ স্বীকার করলে তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আদালত বরাবর বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে বলে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ওসি মোসাদ্দেক হোসেন সমকালকে জানান।
ওসি মোসাদ্দেক আলী বলেন- ‘চন্দ্রা থেকে ওই তরুণীকে ট্রাকের কেবিনে চড়ে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনায় আসছিলেন। ট্রাকের ভেতরে আরও কিছু যাত্রীও ছিল। ট্রাকটি এলেঙ্গা এলাকায় আসার পর চালক ও হেলপার অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দিলেও কেবিনের মধ্যে ওই তরুণীকে নিয়ে রওয়ানা দেন তারা। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় ট্রাকের এক যাত্রী ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন।
এরপর বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকায় চেকপোষ্ট বসিয়ে ট্রাকটিকে আটক করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ট্রাকের চালক পুলিশের সিগন্যাল উপেক্ষা করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে কড্ডার মোড় এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় ট্রাকটি আটক করা হয়। এ সময় ট্রাকের কেবিন থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার এবং তাৎক্ষণিকভাবে ট্রাকচালক অভিযুক্ত সোহেল ও পরে অভিযান চালিয়ে হেলপার আব্দুল ওয়াহাবকে আটক করে পুলিশ। নির্যাতিতা মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় সহজেই ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাকে হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতিও চলছে।’
সিরাজগঞ্জ ২৫০শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক-কাম-সহকারী পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফরিদুল ইসলাম বুধবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে জানান- পুলিশ মেয়েটিকে হাসপাতালে পাঠালেই যথারীতি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পাদন করা হবে।
সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায় বলেন- বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা আছে।