বর্ণনার সঙ্গে ভিডিও’র মিল নেই : ফেঁসে যেতে পারেন নায়িকা পরীমনি
সময় সংগ্রহ :
ফেঁসে যেতে পারেন ঢাকাই ছবির নায়িকা পরীমনি। আসল ঘটনা আড়াল করে পরীমনি ধর্ষণচেষ্টার মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে তথ্য পাচ্ছেন তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এর মধ্যে সেদিনের ঘটনার আরেকটি ভিডিওচিত্র সংগ্রহ করেছে পুলিশ। তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন- তারা এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য পেয়েছেন তাতে নায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টার কোনো প্রমাণ পাননি। মামলাটি নিবিড়ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।
নতুন পাওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে- পরীমনি ক্লাবে ঢুকেই বারের সামনে চেয়ারে বসে তার সঙ্গীদের নিয়ে মদ পান করছেন। এসময় দূর থেকে বোট ক্লাবের পরিচালনা পরিষদের সদস্য নাসির ইউ মাহমুদ তাকে মদ পান করতে বারণ করেন। তখন পরীমণি একটি বোতল নিতে চাইলে নাসির ইউ মাহমুদ বলেন- আপনি কোনো বিদেশি মদ নিতে পারবেন না। এখানেও তাকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন পরিচালনা পরিষদের সদস্য।
ভিডিওটি ভাইরালের পর তা পর্যালোচনা করে দেখছে আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
জানা গেছে- পরীমনি মদ পানে বাধা পেয়েই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এরপর ক্ষুব্ধ পরীমনি ক্লাবে ভাঙচুর চালান। গ্লাস, প্লেট ভাঙেন এবং নাসির ইউ মাহমুদের দিকে বোতল ছুড়ে মারেন। একপর্যায়ে নাসির মাহমুদ ক্ষুব্ধ হয়ে পরীমনিকে চড় মেরে বসেন। পরবর্তীতে পরীমনিও সংবাদ সম্মেলনে চড় মারার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।
তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়- সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও স্টাফদের বক্তব্যের সঙ্গে পরীমনির অভিযোগের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। ক্লাবের স্টাফরা তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন- পরীমনি তার সঙ্গীদের নিয়ে রাতে ওই ক্লাবে গিয়ে স্বেচ্ছায় টেবিলে বসে গল্প করতে ও মদ পান করতে থাকেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর একটি ব্লু-লেভেল বিদেশি মদের বোতল নেওয়া নিয়ে সেখানে প্রথমে উচ্চবাচ্য হয়। পরে সেটি হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
ঢাকাই সিনেমার এই অভিনেত্রী মামলার এজাহারে ঘটনার যা বর্ণনা দিয়েছেন তার সঙ্গে ভিডিওর কোনো মিল নেই। এজাহারে বলেছেন- তাকে জোর করে মুখে মদের বোতল ঢুকিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে- পরীমনি নিজেই মদ খাচ্ছেন, তাকে কেউ জোর করেনি। ভেতরের এসব ভিডিওদৃশ্য এবং ঢাকা বোট ক্লাবের প্রধান ফটক ও অভ্যর্থনা কক্ষের সিসিটিভি ফুটেজ মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গণমাধ্যমে বোট ক্লাবের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ পায়। ফুটেজে দেখা যায়- ৯ জুন রাত ১২টা ২২ মিনিটে ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে একটি কালো গাড়ি দাঁড়ায়। নামতে দেখা যায় পরীমনি, জিমি ও অমিকে। কিছুক্ষণ পর গাড়ি থেকে বের হন বনিও। ক্লাবের রিসিপশনেও অমির সঙ্গে পরীমনিসহ অন্যদের ঢুকতে দেখা যায়। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন নাসির ইউ আহমেদ।
অনেকেই বলছেন- চড় মারার ক্ষোভ থেকেই বাকি সব কিছু করেছেন পরীমনি।
সূত্র : কালের কণ্ঠ