শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসিইউর এসি নষ্ট : করোনা রোগীদের ভোগান্তি
সময় সংগ্রহ :
সিলেটে করোনার বিশেষায়িত শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসিইউ’র (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) অধিকাংশ এসি কাজ করছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাইকোর্টের একজন আইনজীবী তাঁর অসুস্থ পিতাকে নিয়ে সেখানে গেলে এই এসি নষ্টের বিষয়টি ধরা পড়ে। এসি নষ্টের কারণে রোগীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রচন্ড গরমের কারণে রোগীরা এসির বিকল্প হিসেবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে টেবিল বা স্ট্যান্ড ফ্যান ব্যবহার করছেন। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারও (আরএমও) এসি নষ্টের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে- গত এক সপ্তাহ থেকে হাসপাতালের আইসিইউর ১৩টি এসির একটিও কাজ করছে না। আইসিইউতে বর্তমানে আছেন ১৮ জন কোভিড আক্রান্ত মূমূর্ষূ রোগী। সবগুলো এসি ছেড়ে রাখা হয়েছে কিন্তু ঠান্ডা তো দূরের কথা বাতাস পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ২০টি ফ্যান ছেড়ে রাখা হলেও কাজ করছেনা। রোগীদের স্বজনেরা হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছেন রোগীকে। কেউ কেউ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পরামর্শে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিনে এনেছেন ষ্ট্যান্ড ফ্যান। এসি কাজ না করায় আইসিইউ-এর দরজা-জানালা খোলা রাখতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, কোভিড রোগীতে ঠাসা এই আইসিইউতে কিডনী ডায়লোসিসের জন্য দুইটি বিছানা পাতা হয়েছে। ফলে ডায়লোসিস নিতে আসা রোগীদের কোভিড সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে।’
জানা গেছে- মৌলভীবাজার নিবাসী হাইকোর্টের ওই আইনজীবী গতকাল তাঁর অসুস্থ পিতাকে নিয়ে হাসপাতালে যান। তাঁর পিতাকে আইসিইউতে ভর্তির পর তিনি এসি নষ্টের বিষয়টি দেখতে পান।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল করিম কিম হাসপাতালের এসি নষ্টের বিষয়টি নিয়ে ফেইসবুকে একটি স্ট্যটাস দেন। স্ট্যাটাসে তিনি আইসিইউর এসি নষ্টের বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি বুধবার রাতে সংবাদ মাধ্যমকে জানান- এসি নষ্টের কারণে রোগীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অথচ কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা।
এ বিষয়ে হাসপাতালের আরএমও সুশান্ত কুমার মহাপাত্র বলেন- সবকটি এসি নষ্ট কথাটি ঠিক নয়। রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় এসির সুফল মিলছে না। আইসিইইতে মোট কতটি এসি আছে এবং কতটি নষ্ট জানতে চাইলে তিনি বলেন- আইসিইউতে মোট ১৬টি এসি আছে। এর মাঝে ৬/৭টি কাজ করছে, বাকীগুলো নষ্ট। তিনি জানান- বরাদ্দ না থাকায় সময়মতো সংস্কার কাজ করা সম্ভব হয়না। ফলে ভোগান্তি বাড়ে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন- আমাদের হাসপাতালের দিকে জনপ্রতিনিধি কিংবা সামর্থ্যবানদেরও নজর কম।
গত বছরের করোনা সংক্রমণের পর থেকে সরকারীভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল। বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের আনা হড এ হাসপাতালে। তবে রোগীর সংখ্যা বাড়ায় চাপে রয়েছে হাতপাতাল এমনটিই জানান সংশ্লিষ্টরা।