নৌকার কান্ডারী হাবিবুর রহমান হাবিব : যুক্তরাজ্যে বইছে আনন্দের বন্যা
শেখ জাফর আহমদ
হাবিবুর রহমান হাবিব; যুক্তরাজ্য প্রবাসী; যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সিলেট জেলা শাখার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কামাল বাজার ইউনিয়নের ধরগাঁও গ্রামের কৃতি সন্তান। দক্ষিণ সুরমা, ফেন্সুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনের আসন্ন উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থী মনোনয়ন পেয়েছেন।
উদীয়মান এই রাজনীতিবিদ ঐতিহ্যবাহী এই জনপদের নৌকার কান্ডারী হিসাবে মনোনীত হওয়ায় দেশ-বিদেশে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের হাইকমান্ড বোর্ড থেকে যখন সিলেট-৩ আসনের প্রার্থী হিসেবে হাবিবুর রহমান হাবিবের নাম ঘোষণা করা হয়, ঠিক সেই মহুর্ত থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সর্বত্র আনন্দসভা, মিষ্টিমুখ, প্রচারণা সভা, নির্বাচনী সভা হয়ে যাচ্ছে। বৃটেনের বড়-বড় শহর থেকে শুরু করে, দেশটির আনাচে-কানাচে সর্বত্রই নির্বাচনী সভা, প্রচার-প্রচারণা চলমান রয়েছে।
হাবিবুর রহমান হাবিবের নির্বাচনী মাঠে কাজ করতে অনেকের দেশে যাওয়ার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বৈশ্বিক মহামারী করোনার জন্য যেতে না পারার বেদনায় ভুগছেন। স্ব-শরীরে উপস্থিত থাকতে না পারার বিকল্প হিসাবে তারা ডিজিটাল টেকনলজি জুম, ষ্ট্রিম ইয়ার্ড, ফেইসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ওয়াটসআপ, টুইটার, ইমু ও ভাইভার-এর মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বেঁচে নিয়েছেন। অনেকেই আবার বৃটেনের চলমান কভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব কিছুটা কম ও সরকারি আইন কিছুটা শীতল থাকায়, শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখেই সীমিত আকারে (উপস্থিতির মাধ্যমে) নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
তরুন এই প্রবাসী রাজনীতিবিদ হাবিবুর রহমান হাবিবকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নীতি নির্ধারকরা মনোনীত করায় অনেক প্রবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। বলাবাহুল্য, দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এই রেমিটেন্সযোদ্ধাদের অনেকেই দেশে ফিরলে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন। দেশের বিমানবন্দরে পা রাখা থেকে শুরু করে গ্রাম-শহরের বাড়ি পর্যন্ত কোন না কোন ভাবে হয়রানি কিংবা বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকেন। তাছাড়া বাংলাদেশের বাহিরে যে সকল দুতাবাস রয়েছে প্রবাসীদের সেবা প্রদান করার জন্য, সেখানেও কিন্তু অনেক অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীরা যেমন সে দেশের সরকার কর্তৃক নির্যাতিত হন, তেমনি অনেকাংশে দুতাবাস থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা না পাওয়ায় বেকায়দায় পড়েন। অনেক ক্ষেত্রে আইনী জটিলতা ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র না থাকার কারনে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের।
যদিও বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি কথা প্রচলিত আছে- যে দলই সরকার গঠন করুক না কেন, প্রথমে তারা নিজেদেরকে প্রবাসীবান্ধব সরকার হিসাবে ঘোষণা করে থাকেন। কিন্তু বাস্তবে কতটুকু সত্য, তা তাদের পরবর্তি কার্যক্রম থেকেই সহজে বুঝে নেওয়া যায়।
হাবিবুর রহমান হাবিব যেহেতু একজন সাবেক ছাত্রনেতা, যুবনেতা এবং মাঠ পর্যায় থেকে বেড়ে ওঠা একজন বিচক্ষণ প্রবাসী রাজনীতিবিদ, সেহেতু তার কাছে প্রবাসীদের প্রত্যাশাও অনেক। যুক্তরাজ্য’সহ বহিঃর্বিশ্বের অনেক প্রবাসী মনে করেন- হাবিবুর রহমান হাবিব সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে বিজয়ী হলে তিনি নির্বাচনী এলাকার মাটি ও মানুষের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি প্রবাসীদের জন্যও কাজ করবেন।
বাংলাদেশের যে সকল প্রবাসী রয়েছেন, তার সিংহভাগই হচ্ছেন সিলেটি। সুতারাং সিলেটের একটি গুরুত্বপুর্ণ এলাকা থেকে একজন প্রবাসী সিলেটিকে মনোনয়ন দেওয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উর্ধ্বতন মহলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রবাসীরা।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে হাবিবুর রহমান হাবিব তার নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ঘোষণা করেছেন- “আমি নেতা হতে চাই না, সেবক হতে চাই।” “আমি এমপি সাব নয়, আপনাদের হাবিব ভাই হয়ে থাকতে চাই।” “আমার কোন পিএস-এপিএস থাকবে না, পুলিশি নিরাপত্তা লাগবে না।” “একটি নান্দনিক দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপহার দেওয়াই আমার অঙ্গীকার।” তার এমন সরল ও আন্তরিক কথাবার্তায় নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা যেন স্বস্তি খোঁজে নিচ্ছেন, ভরসা ফিরে পাচ্ছেন।
এবার দেখার বিষয়- আগামী ২৮ জুলাই ২০২১ ইংরেজি তারিখের উপ-নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনের জনগণ হাবিবুর রহমান হাবিবকে কিভাবে মুল্যায়ন করছেন। তবে নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে হাবিবুর রহমান হাবিবের মতো একজন মানবিক রাজনীতিবিদকে জয়যুক্ত করলে সকল প্রবাসী’সহ দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে -সেটি নির্ধিদায় বলা যায় বিশ্বাস থেকে।
লেখক : যুক্তরাজ্য প্রবাসী, রাজনৈতিক কর্মী।
[বি.দ্র. : মুক্তকথন বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব, এর সাথে দৈনিক সময় সিলেট এর সম্পাদকীয় নীতিমালা সম্পর্কিত নয়। দৈনিক সময় সিলেট সকল মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে মুক্তকথনে প্রকাশিত লেখার দায় দৈনিক সময় সিলেট এর নয়।]