দোয়ারাবাজারে পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত : বেড়ীবাঁধ মেরামত জরুরি
দোয়ারাবাজার সংবাদদাতা :
শাহ্ মাশুক নাঈম, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) থেকে : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সোমবার (২৮ জুন) রাতের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক ভাবে তলিয়ে গেছে সুরমা, বাংলাবাজার, বোগলাবাজার ও নরসিংপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম।
চিলাই, মৌলা নদী ও খাসিয়ামারাসহ পাহাড়ি নদীগুলোর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বর্তমানে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ চৌধুরীপাড়া, পেকপাড়া, চিলাইপাড়, পুরান বাশতলা, বোগলাবাজার ইউনিয়নের আলম খালি, ইদুকোনা, ক্যাম্পের ঘাট, ভোলা খালিসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রামের ঘর-বাড়ীতে হাঁটু সমান পানি ডুকেছে। নরসিংপুর ইউনিয়নের চেলা ও মরা চেলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
সমাজসেবক আমির উদ্দিন বলেন- উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের শ্যামারগাঁও, শ্রীপুর তেরাপুর হাতিরভাঙ্গা ও বাংলাবাজার ইউনিয়নের পুর্ব ঘিলাতলী গ্রামের একটি অংশের বাড়ী-ঘর পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়ে যাচ্ছে। করোনা সংক্রমন দেশব্যাপী লকডাউনের কারনে কর্মহীন ও আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ এই মানুষগুলো এখন চরম বিপাকে পড়েছে।
স্থানীয় প্রভাষক আবু বকর সিদ্দিক দৈনিক সময় সিলেট-কে বলেন- বোগলাবাজার ইউনিয়নের আলম খালি গ্রামে চিলাই নদীর বাঁধ সংস্কার না হওয়ায় পানিতে তলিয়ে গেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, বসত-বাড়ি ও অসংখ্য পুকুর। তিনি বলেন- দূর্যোগ থেকে রক্ষায় খুব দ্রুত বেড়ীবাঁধ মেরামত করা প্রয়োজন।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন- আলমখালী বেড়ীবাঁধ ভাংগা ছিল এটা আমার জানা নেই, খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।