ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডে মনোনীত সিলেটের মেয়ে তানজি
সময় সংগ্রহ :
ব্রিটিশ যুবরাজ চার্লসের প্রথম স্ত্রী প্রিন্সেস ডায়ানা। যিনি সরাসরি যুক্ত ছিলেন শতাধিক সমাজসেবী সংগঠনের সঙ্গে। তাঁর স্মরণে ১৯৯৯ সালে সমাজসেবায় যুক্ত তরুণদের ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড প্রদান কার্যক্রম শুরু করেন। ২০ বছরের বেশি সময় ধরে দেওয়া হয় ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড। এ কার্যক্রমের সঙ্গে ডায়ানার দুই ছেলে উইলিয়াম ও হ্যারি সরাসরি যুক্ত।
গত সোমবার (২৮ জুন) রাত ৯টায় এ বছরের ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত তরুণদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের ১৯ জন। যাদের মধ্যে রয়েছেন সিলেটের মেয়ে আফরুজা তানজি। তিনিসহ অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেকেই দেশের বিভিন্ন সমাজসেবাসংক্রান্ত কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত।
আফরুজা তানজি প্রতিভা নামের একটি সংগঠনের ব্যবস্থাপক। এই সংগঠনের মাধ্যমে তিনি দক্ষতা, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার মাধ্যমে নারীদের আর্থিক স্বাধীনতা অর্জনের জন্য কাজ করছেন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারীদের ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ বৈষম্য ও হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। আফরুজা এখন পর্যন্ত ৭০০ এরও বেশি তরুণী ও নারীকে আর্থিক স্বাক্ষরতার ক্লাস প্রদান করেছেন। ১০০ জন মহিলাদের জন্য শিল্প ও কারুশিল্প প্রশিক্ষণ এবং এক হাজারেরও বেশি কারিগর পণ্য বাণিজ্যিকীকরণ করেছেন তিনি।
সিলেট নগরের সুবিদবাজার এলাকায় শৈশব কাটানো আফরুজা তানজির মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কেটেছে সিলেট ব্লু-বার্ড স্কুলে ও সিলেট সরকারি মহিলা কলেজে। বর্তমানে বায়োটেকনলজি নিয়ে পড়াশোনা করছেন ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বাবা ব্যবসায়ী আব্দুল মোছাব্বির ও মা কাজী রাশিদা খাতুন।
অ্যাওয়ার্ড পেয়ে উচ্ছসিত তানজির সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন- ২০১৭ সালে একটি স্বেচ্চাসেবী সংগঠনের হয়ে কাজ করতে গিয়েছিলাম। একটা প্রকল্পের কাজে গিয়ে দেখেছিলাম তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে ফেললেই মায়েরা তার সন্তানকে কাজে পাঠিয়ে দেন। সারাদিন কাজ করে ৫০ টাকা এনে দিলেই সেটা অনেক বলে মনে করেন সেই মা। কিন্তু, সেই মায়েরা গৃহিণীর কাজই করেন। এরপরই সন্তানদের স্কুলমুখী করতে এবং মায়েদের কর্মসংস্থান সৃস্টির লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করি এই সংগঠনের মাধ্যমে।
বাংলাদেশ থেকে এ বছর ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত অন্যরা হলেন- মো. মাহবুবুল আবরার (জাগো ফাউন্ডেশন), আনিকা সুবাহ আহমেদ (ইভোলিউশন থ্রিসিক্সটি), মো. শওকত আরাফাত (ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ), রিজভী আরেফিন (অ্যাওয়ারনেস থ্রিসিক্সটি), মুরশিদুল আলম ভূঁইয়া (টিম ব্যর্থ), খাদিজাতুল কুবরা বিনতে আহসান (উইমেন ভিউ), সাদিদ বিন হাসান (ক্রসরোডস ইনিশিয়েটিভ), আনাস হোসেন (সেফহুইল), সাগর মজুমদার (নারডিজ), গুলনাহার মাহবুব (দেশি বলারস), সিদরাতুল মুনতাহা (টেকনোভেশন), মারিয়া মুমু (মশাল মেন্টাল হেলথ), ইউসুফ মুন্না (রিফ্লেকটিভ টিনস), আজাজুল ইসলাম (ওয়ান অব ইউ), মোহাম্মদ আফজাল সুলতান (দূরবীন ফাউন্ডেশন), লামিয়া তাজনীন (ট্রানসেন্ড), সরকার তানভীর আহমেদ (ইয়ুথ পার্লামেন্ট) এবং মো. মোস্তফা জামান (ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ)।