বড়লেখায় কঠোর লকডাউন কার্যকরে হার্ডলাইনে প্রশাসন
বড়লেখা সংবাদদাতা :
শহর ছিল ফাঁকা। মানুষজনের তেমন আনাগোনাও ছিল না। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও ছিল বন্ধ। ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার যানবাহন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হয়নি কেউ। আর যারা বেরিয়েছিলেন, তাদের আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, সতর্ক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কঠোর অবস্থানে ছিল উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
সরকারি ঘোষিত কঠোর লকডাউনের প্রথমদিন এমন চিত্র ছিল মৌলভীবাজারের বড়লেখায়। লকডাউন বাস্তবায়নে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় টহল দেয়। এ সময় করোনার বিস্তার ঠেকাতে ও সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে- করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের বাস্তবায়নে বড়লেখা উপজেলায় মাঠে নামে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলীর নেতৃত্বে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর টহল দল যৌথভাবে উপজেলার হাজীগঞ্জ বাজার, কাঠালতলীবাজার, রতুলীবাজার, আজিমগঞ্জ বাজার, কানোনগো বাজারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হয়। পাশাপাশি করোনার বিস্তার ঠেকাতে ও সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়।
এ সময় সেনাবাহিনীর সিলেট সেনানিবাসের ৫০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির ক্যাপ্টেন মো. মাহাদী হাসান, বড়লেখা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূসরাত লায়লা নীরা, জুড়ী সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোস্তাফিজুর রহমান ও বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বড়লেখা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী বলেন- করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং বিজিবি যৌথভাবে মাঠে কাজ করেছে। বিধিনিষেধ যাতে যথাযথভাবে প্রতিপালিত হয়, এজন্য মনিটরিং করা হচ্ছে।
তিনি বলেন- প্রথমদিন পৌর শহরসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বাজার এলাকায় টহল দেওয়া হয়েছে। মানুষের সমাগম খুব দেখা যায়নি। যেখানে যেখানে মানুষকে দেখা গেছে, সতর্ক করা হয়েছে। লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন মাঠে থাকবে। কেউ যদি সরকারি বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের চেষ্টা করে, তাহলে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে।