রূপগঞ্জে কারখানা শ্রমিকদের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বিক্ষোভ
সময় সিলেট ডেস্ক :
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এক মাসের বকেয়া বেতন ও চার মাসের ওভারটাইমের দাবিতে সজিব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড লিমিটেড নামে কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মোট ৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন শ্রমিকরা।
এ সময় শ্রমিকরা মহাসড়কে টায়ার দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুইপাশে দীর্ঘ ৮ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- ভুলতা এলাকায় অবস্থিত সজিব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড লিমিটেড নামের কারখানায় জুস, ক্যান্ডি, বিস্কুট, লাচ্ছি সেমাই, বিভিন্ন পণ্য তৈরি হয়। কারখানাটিতে প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। গত দুই মাস ধরে ওভারটাইমের টাকা, বকেয়া বেতন ও বেতন বাড়ানোর জন্য কারখানার শ্রমিকরা বেশ কিছুদিন ধরে মালিক্ষপক্ষকে বলে আসছিলেন। শ্রমিকদের ওভারটাইমের টাকা, বকেয়া বেতন পরিশোধের ব্যাপারে কারখানা মালিকপক্ষ টালবাহানা করে আসছিল।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ না করে ওভারটাইমের টাকা, এক মাসের বকেয়া বেতন ও বেতন বাড়ানোর দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহা-মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এক পর্যায়ে শ্রমিকরা মহা-সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে করে মহা-সড়কের দুইপাশের দীর্ঘ ৮ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজটে আটকা পড়ে কয়েক শতাধিক মালবাহী যানবাহন। খবর পেয়ে কাচঁপুর ইন্ডাসট্রিয়াল পুলিশ ও ভুলতা ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
এ সময় আজিজুল, আকলিমা, হাসনা, শাহ-জালাল, শিমুল, সাদিয়াসহ শ্রমিকরা অভিযোগ করেন- ওভারটাইমের টাকা, বকেয়া বেতন ও বেতন বাড়ানোর কথা বললে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের মারধর ও চাকুরিচ্যুত করার হুমকি-ধামকি প্রদান করেন।
ওভারটাইমের বেতন না পাওয়ায় শ্রমিকদের সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। বেশিরভাগ শ্রমিকেরই কয়েক মাসের ঘর ভাড়া বকেয়া পড়েছে। মুদি মনোহরি দোকানেও বাকি দেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নাজিম উদ্দিন বলেন- মালিকপক্ষের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আগামী ৫ জুলাই শ্রমিকদের ২ মাসের বকেয়া ওভারটাইমের টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। বাকিটা ঈদের আগে পরিশোধ করে দেওয়া হবে।
হাসেম ফুড লিমিটেডের অ্যাডমিন ইনচার্জ ইঞ্জিনিয়ার সালাউদ্দিন বলেন- করোনার কারণে কোম্পানিটি আর্থিকভাবে চাপে আছে। তাই শ্রমিকদের বেতন ও ওভারটাইমের টাকা দিতে একটু দেরি হচ্ছে।