লকডাউনেও হলো শাহজালালের ওরস : প্রধানমন্ত্রীর গিলাফ চড়ান আ.লীগ নেতারা
সময় সংগ্রহ :
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের দেয়া কঠোর লকডাউনের মধ্যেও হযরত শাহজালাল রহ. মাজারের ওরস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে মাজারে গিলাফ ছড়ানোর মধ্যে শুরু হয় ওরসের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর রাত ১০ টার দিকে মিলাদ মাহফিল ও আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় এবারের সীমিত আকারের ওরস।
এদিকে ওরসের দিন সকালে মানুষের সমাগম না থাকলে সন্ধ্যার দিকে বাড়তে থাকে মানুষের সমাগম। এতে করে রাত ১০ আগেই মাজার প্রাঙ্গণে ভিড় করেন আশেপাশের বাসিন্দারা। এতে ভিড়ের কারণে ভেঙে পরে সামাজিক দূরত্ব। এসময় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে মাজারে গিলাফ চড়ান আওয়ামী লীগ নেতারা।
তবে মাজার কর্তৃপক্ষের দাবি- করোনা ভাইরাসের কারণে এবার ওরস বাতিল করা হয়েছে। এজন্য কাউকে বলা হয়নি। আর মানুষের ভিড় যাতে না হয়, সেজন্য সকালে আমরা কাউকে না জানিয়ে গিলাফ ছড়াই। সেসময় মাজার প্রাঙ্গণে ১০/১৫ জন লোক ছিল। তবে দুপুরের দিকে কেউ একজন ফেসবুক লাইভে রাত্রে মিলাদের বিষয়টি জানিয়ে দেয়ায় আশেপাশের মানুষজন চলে আসেন। তবে আমরা চেষ্ঠা করেছি মানুষকে বুঝানোর জন্য।
আর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ জানান- ‘মানুষের সমাগম শুনে কোতোয়ালী থানার ওসি এসএম আবু ফরহাদকে সাথে নিয়ে আমি সরেজমিন গিয়েছিলাম। ওরস হয়নি। এশার নামাজ শেষে দুইটি জানাযা হয়েছে। পরে দোয়া হয়েছে।’
এর আগে গত ৮ জুন সামাজিক দূরত্ব মেনে সংক্ষিপ্ত পরিসরে লাকড়ি তোড়া উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন ভক্ত-অনুরাগীরা শহরতলির লাক্কাতুরা ও মালনিছড়া চা বাগানের টিলায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে লাকড়ি সংগ্রহ করে মাজারে নিয়ে আসেন।
এদিকে, গত ১২ জুন শাহজালাল রহ. এর দরগাহ অফিসে মোতওয়াল্লি সরেকওম ফতেহ উল্লাহ আল আমান সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন- মাজারের সিলেটসহ সারাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় হজরত শাহজালাল রহ. এর ৭০২তম বার্ষিক ওরস এবার হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেছিলেন- করোনা ভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে এ বছর ১ ও ২ জুলাই দু’দিনব্যাপী হজরত শাহজালাল রহ. এর ৭০২ তম ওরস গত বছরের ন্যায় উদযাপিত হচ্ছে না।