শ্যামল দাশের দেহ সৎকারে নূর-মেহেদীরা : করোনার ভয়ে দূরে থাকলো স্বজন
সময় সিলেট ডেস্ক :
শ্যামল দাশ করোনায় আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন শনিবার (০৩ জুলাই) মধ্যরাতে। স্ত্রী শিপ্রা রানী দাশের বুকফাটা কান্নায় গোটা এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠছিল। কিন্তু তাতেও মন গলেনি আত্মীয়-স্বজনদের। আর প্রতিবেশীরা করোনার ভয়ে এলাকা থেকেই পালিয়ে গেছেন। প্রায় ৮ ঘন্টা স্বামীর মৃতদেহ আকড়ে পড়েছিলেন শিপ্রা।
রোববার (৪ জুলাই) সকালে সেই খবর পৌছে গেল মেহেদী শিকদারের কাছে। করোনার ভয় উপেক্ষা করে তিনি হাজির হন মৃতের বাড়িতে। ঘরে গিয়ে দেহ তুলে খাটিয়ায় করে নিয়ে গেলেন শ্মশানে। এভাবেই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা এসে শ্যামলের শেষকৃত্য সম্পন্ন করলেন।
সম্প্রীতির এই দৃষ্টান্ত দেখা গিয়েছে সাগরতীরের বরগুনা জেলার পাথরঘাটা পৌরসভার হার্ডওয়ার পট্রিতে। ধর্মীয় হানাহানির খবরই যখন শিরোনামে উঠে আসে, সেই সময় যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির গড়লেন পাথরঘাটার পৌর এলাকার মানুষেরা। তিন ভিন্নধর্মী মানুষের কাঁধেই শেষ যাত্রায় যান শ্যামল দাশ। শ্মশানেও কাঠ জোগাড় করা থেকে শুরু করে দাহ করার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শ্যামলের পাশে ছিলেন মেহেদী, নুর আলম, রাসেলরা।
মেহেদী শিকদার এর আগেও করোনায় আক্তান্ত হয়ে মারা যাওয়া দু’জনের লাশ দাফন করেছেন। তাদের একজন ছিলেন মানসিক প্রতিবন্ধী। অপরজন হাসপাতাল রোডের নজরুল ইসলাম। তিনি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী।