মোংলা বন্দর দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে: রিয়ার এডমিরাল মুসা
মোংলা সংবাদদাতা :
প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সংখ্যক বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন, গাড়ি আমদানি বৃদ্ধি ও ১১৯ কোটি ৪৫ লাখ কার্গো হ্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে দেশের সমুদ্র অর্থনীতিতে নতুন রেকর্ড গড়েছে দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর মোংলা। প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা এ বন্দরে বিদায়ী অর্থবছর ২০২০-২১ সালে সর্বোচ্চ ৯৭০ টি দেশী-বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ আগমনের রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০- ২১ অর্থবছরে ১ কোটি ১৯ লক্ষ মেট্রিক টন পণ্য খালাস করেছিল মোংলা বন্দর। এতে রাজস্ব আয় হয়েছে ৩৪০ কোটি ২৩ লাখ ১২ হাজার টাকা। যা থেকে বন্দর নীট মুনাফা আয় করে ১৩০ কোটি টাকা। এখানে লক্ষ্য মাত্রাছিল ১০১ কোটি টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৯ কোটি টাকা বেশি আয় করলো দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ সমুদ্র বন্দর।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা রোববার (৪ জুলাই) সকাল ১০ টায় বন্দরের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন- ৯০ দশকে মোংলা বন্দর মৃত্যু বন্দরে পরিণত হয়েছিল। সেই মৃত্যু বন্দরকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। এ বন্দর এখন বিশ্ব বাজারের কাছে একটি বাণিজ্যিক বন্দরে রুপান্তিত হয়েছে।
তিনি বলেন- এখান থেকে সরকার এখন কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করছে। কর্মসংস্থান হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের। এই বন্দর ব্যাবহারকারীদের আর অন্য বন্দরে গিয়ে ব্যবসা করতে হয়না। অন্য বন্দরের ব্যবসায়ীরা আরও মোংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করতে আগ্রহী হচ্ছেন।
এছাড়া বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সরকারের মেগা প্রকল্পের পণ্য এ বন্দর দিয়ে খালাস হচ্ছে, যা আগামীতে এ বন্দর বিশ্বের কাছে একটি পরিবেশ বান্ধব ও আধুনিক বন্দর হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে বলে আশা করেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল মোহাম্মাদ মুসা।
বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) মোস্তফা কামাল বলেন- ২০২০-২১ অর্থ বছরে বন্দরে আগত ৯৭০ টি জাহাজ থেকে ১১৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ পণ্য খালাস হয়। এছাড়া ৪৩ হাজার ৯৫৯ টিইইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয় এবং ১৪ হাজার ৪৭৪ টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি হয় এ বন্দরে। তবে এসব গাড়ির ৪০ শতাংশ খালাসও হয়েছে বলে দাবি করে বন্দর কর্তৃপক্ষের।