কমলগঞ্জে লকডাউনে ব্র্যাকের বিরুদ্ধে কিস্তি আদায়ে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ
কমলগঞ্জ সংবাদদাতা :
নির্মল এস পলাশ, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা : সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে কর্মহীন লোকদের কাছ থেকে কিস্তি আদায়ের জন্য চাপ সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের বিরুদ্ধে। চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যে ঋণের কিস্তি পরিশোধে বিপাকে পড়ে হিমশিম খাচ্ছেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে উপজেলার এই কর্মহীন ঋণগ্রহীতারা। তবে ব্র্যাকের পক্ষ থেকে অভিযোগটি অস্বীকার করে বলা হয়েছে- তারা কোন চাপ দিচ্ছেন না।
জানা যায়- করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে মৃত্যু ও আক্রান্তের হার বাড়তে থাকায় সরকার দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে। ফলে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের আয়-রোজগার একরকম বন্ধ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে কমলগঞ্জের বিভিন্নস্থানে ব্র্যাক সমিতির মাঠকর্মীরা ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিস্তি আদায়ে চাপ প্রয়োগ করে বাধ্য করছেন ঋণ পরিশোধে। এতে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মহীন ঋণগ্রহীতারা।
নাম প্রাকাশে অনিচ্ছুক একজন ঋণ গ্রহীতা এই প্রতিবেদককে জানান- লকডাউনের মধ্যে কর্ম নেই, অথচ ব্র্যাকের কিস্তির জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। আর কিস্তি পরিশোধ না করলে আর ঋণ দেয়া হবেনা বলেও হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করা হচ্ছে।
সোমবার (৫ জুলাই) উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের দেওড়াছড়া চা বাগানে শমশেরনগর ব্র্যাক সমিতির মাঠকর্মী শিপ্রা সরকার’কে ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে কিস্তি আদায় করতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন- কিস্তি আদায় না করলে অফিস থেকে বেতন দেওয়া হয়না। তিনি আরও বলেন- আমি কারও কাছ থেকে জোরপূর্বক কিস্তি আদায় করছি না। কেউ নিজ ইচ্ছায় দিলে তা গ্রহণ করছি।
এ বিষয়ে ব্র্যাক শমশেরনগর অফিসের ব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান বলেন- ঋণ গ্রহীতারা অফিসে ফোন করে কিস্তি নেয়ার কথা বলায় আমরা লোক পাঠিয়ে কিস্তি আদায় করছি।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন- ব্র্যাকের মৌলভীবাজার জেলা অফিসকে বলা হয়েছে, কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার জন্য। না হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।