হাইআতুল উলিয়া’র কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় সিলেটের শীর্ষস্থানে আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর মাদরাসা
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ-এর অধিনে দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স সমমান) পরিক্ষায় গতবারের ন্যায় এবারও সিলেটের শীর্ষস্থান দখল করেছে জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর মাদরাসা। ১৩ টি মুমতাজ ও সারাদেশে মেধাতালিকায় ১৫ তম, ২০ তম, ৩০ তম ও ৩৭ তম সিরিয়াল অর্জন করেছে জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মোহাম্মদপুরের শিক্ষার্থীরা।
আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষরা বলেন- করোনা পরিস্থিতিতেও প্রতিকূল পরিবেশে পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষার্থীরা অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। এর পেছনে সম্মানিত আসাতিজা হযরাতের শ্রম, শিক্ষার্থীদের মেহনত এবং তাঁদের মা বাবার দোয়া মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে। আমরা সকলের শুকরিয়া আদায় করছি।
সিলেটের অন্যান্য মাদ্রাসাদের মধ্যে জামিয়া কাসিমুল উলুম দরগাহ মাদরাসা বোর্ডের ১৬, ৩২, ৩৭ তম সিরিয়াল অর্জন করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। রেঙ্গা মাদরাসা- ৩০ তম ও ৩১ তম সিরিয়াল অর্জন করে তৃতীয়, রামধা মাদরাসা-৩১ তম সিরিয়াল অজর্ন করে চতুর্থ, দেউলগ্রাম মাদরাসা-১৮ তম সিরিয়াল অজর্ন করে পঞ্চম, এবং শাহবাগ মাদরাসা-১৯ তম সিরিয়াল অর্জন করে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে।
উল্লেখ্য, আল-হাইআতুল উলইয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের ১৪৪২ হিজরি/২০২১ খ্রিস্টাব্দের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষার গড় পাসের হার ৭৩.২৫। ছাত্রদের পাশের হার ৭৯.৪২ আর ছাত্রীদের পাশের হার ৬৩.৬৩।
রোববার (১৮ জুলাই) ফলাফল ঘোষণা করেন- হাইআতুল উলইয়ার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাওলানা মাহমুদুল হাসান। এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- হাইয়াতুল উলইয়ার সদস্য মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মুফতি রুহুল আমিন, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা শামছুল হক, মাওলানা আব্দুল বছীর, মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মুফতি মুহাম্মদ আলী, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, ড. মুশতাক আহমদ, মাওলানা নূরুল আমিন, মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলীল, মুফতি জসীমুদ্দীন প্রমুখ।
এবারের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২২,৩৪২ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ১৬,২৩২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১১,৩৮০ জন এবং ছাত্রী ৪,৮৫২ জন। পাসের হার ছাত্র ৮২.১০, ছাত্রী ৫৭.২১। মুমতায (স্টার মার্ক) পেয়েছে ছাত্র ৯৩৩ জন এবং ছাত্রী ৫৬ জন। জায়্যিদ জিদ্দান (১ম) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ছাত্র ৩,৫০০ জন, ছাত্রী ৭৭১ জন। জায়্যিদ (২য়) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ছাত্র ৪,৮৯১ জন, ছাত্রী ২,২৮১ জন এবং মাকবূল (৩য়) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ছাত্র ২,০৫৬ জন, ছাত্রী ১,৭৪৪ জন।