কুর্শি ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু তালিম চৌধুরী’র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা
হবিগঞ্জ সংবাদদাতা
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ, দল-মত নির্বিশেষে রাজনৈতিক অঙ্গনের সকল নেতাকর্মী এবং দেশ-বিদেশে অবস্থানরত সকল প্রবাসী বাঙালিকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন- কুর্শি ইউনিয়ন এসোসিয়েশনের আহবায়ক, নবীগঞ্জ উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, নিজাম চৌধুরী কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি, অষ্টগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য, নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য, কুর্শি ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী আবু তালিম চৌধুরী নিজাম।
সোমবার (১৯ জুলাই) দুপুরে এই প্রতিবেদকের কাছে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন- বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের মাঝে আমাদের কাছে এসেছে বিশ্ব মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা, মহা খুশীর দিন। ‘প্রাণঘাতী করোনা সরে নতুন প্রাণের সঞ্চার হোক দিগন্তজুড়ে’ উল্লেখ করে নবীগঞ্জের তথা কুর্শি ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ, দল-মত নির্বিশেষে রাজনৈতিক অঙ্গনের সকল নেতাকর্মী ও দেশ-বিদেশে অবস্থানরত সকল প্রবাসী বাঙালিকে পবিত্র ঈদুর আযহার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।
সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু তালিম চৌধুরী নিজাম বলেন- ‘মহান আল্লাহর নিকট কোরবানি কবুল হওয়ার জন্য শুদ্ধ নিয়ত ও উপার্জন থাকা আবশ্যক। পাশাপাশি সকলেই সরকার নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দেওয়া এবং যথাসময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ’সহ পশু ক্রয় থেকে শুরু করে প্রতিটি কার্যক্রম করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে করতে সচেষ্ট থাকবেন বলে আমি আশা রাখি। পবিত্র ঈদুল আযহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ, সবার মধ্যে জেগে উঠুক ত্যাগের আদর্শ-মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করি।’
তিনি আরও বলেন- ‘গেলো বছরের ন্যায় এবারও এমন একটা সময়ে ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন মহামারি করোনার ছোবলে গোটা বিশ্ববাসী বিপর্যস্ত। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অনেক মানুষই মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাই, এসব অসহায়, হতদরিদ্র ও কর্মহীন বিপর্যস্ত মানুষের কল্যাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকলকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।’
শুভেচ্ছা বার্তায় এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন- ‘করোনা মোকাবেলায় সকলকে সচেতন হতে হবে এবং জীবনযাপনে ও চলাফেরায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নিজে সুস্থ থাকি, অন্যকেও সুস্থ রাখি-এটাই হোক এবারের ঈদুল আযহার সকলের অঙ্গীকার।’
তিনি বলেন- ‘মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আযহা। ‘আজহা’ অর্থ কোরবানি বা উৎসর্গ করা। ঈদুল আজহা উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে চরম ত্যাগ ও প্রভুপ্রেমের পরাকাষ্ঠা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল আ. কে কোরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম আ. আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ইতিহাসে অতুলনীয়।’
আবু তালিম চৌধুরী নিজাম বলেন- ‘কোরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মনোভাব ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়। কোরবানির মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে আমাদেরকে ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে। ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হলেই প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌন্দর্য।