সমুদ্র পথে আসা অবৈধ ইমিগ্রেন্ট ঠেকাতে ফ্রান্সের সাথে ইউকের চুক্তি
সময় সংগ্রহ :
রেজাউল করিম মৃধা : ব্রেক্সিটের পর ইউরোপের সাথে ইউকের সম্পর্ক শেষ হলেও নিজেদের প্রয়োজনে ফ্রান্সর সাথে ইউকে বর্ডারের সমুদ্র পথ অবৈধ ইমিগ্রেন্ট ঠেকাতে ইংরাজী চ্যানেল পেরিয়ে আসা অবৈধ অভিবাসীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা রোধে ফ্রান্সের সাথে নতুন ৫৪.২ মিলিয়ন পাউন্ড চুক্তি করেছে ব্রিটেন এবং ইউকের মধ্যে।
এই বছর চ্যানেল পেরিয়ে আসা অবৈধ ইমিগ্রেন্টের সংখ্যা এখন ২০২০ সালের চেয়ে বেশি। গত নভেম্বরে ২৮.২ মিলিয়ন পাউন্ডের ক্রসিং সীমিত করতে ব্যর্থ হওয়ার পরে ভাল অর্থ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রজেক্ট বেশী কার্যকর না হলেও এই বৃহৎ অর্থ এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যাবহার এবং বৃস্তৃত এলাকা জুড়েই সমুদ্র হওয়া টহলরত পুলিশ বা আইন শৃংখলা বাহিনী হিমশিম খাচ্ছে।
ক্যালাইস সাংসদ পিয়েরে-হেনরি ডুমন্ট পরামর্শ দিয়েছিলেন যে ফরাসী উপকূলরেখাটি টহল দেওয়ার পক্ষে দীর্ঘ হওয়ায় এর কোনও প্রভাব পড়বে না।
স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিটিকে প্রমান দিয়ে এম এস প্যাটেল বলেছিলেন যে, এটি একটি ‘ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি’ ছিল, যারা ক্রসিংয়ের চেষ্টা করছেন তাদের সংখ্যা যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত সোমবার কমপক্ষে ৪৩০ জন অভিবাসী চ্যানেলটি অতিক্রম করেছে– এটি এক দিনের রেকর্ড। পূর্ববর্তী দৈনিক সর্বোচ্চ ৪১৬ গত বছরের সেপ্টেম্বরে সেট করা হয়েছিল। বুধবার, একদল অভিবাসী ডোভার পৌঁছতে দেখা গেছে, এবং এই বছর মোট সংখ্যাটি ২০২০ সালে ক্রসিং করা ৮,৪৬১ এরও বেশি ছিল। এই দলে অন্তত পাঁচ শিশু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মঙ্গলবার লন্ডন ও প্যারিসের মধ্যে এই চুক্তিতে একমত হয়েছে যে ফ্রান্সকে সৈকতে টহলরত পুলিশ সংখ্যা দ্বিগুণ করতে হবে। এটি উন্নত বুদ্ধি শেয়ারিং করে নেওয়ার জন্য অর্থায়ন করবে এবং ক্রসিংগুলি সংগঠিতকারী দলগুলিকে লক্ষ্য করে আরও উন্নত প্রযুক্তি প্রবর্তন করবে।
হোম সেক্রেটারি প্রিতি প্যাটেল বলেন- অবৈধ ইমিগ্রেন্ট ঠেকাতে ইউকে জিরো টলারেন্স যে কোন উপায়েই হোক অবৈধ ইমিগ্রেন্ট রোধ করতে হবে। ক্রসিংয়ের ক্ষেত্রে মোডাস অপারেন্ডিতে সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়েছে, কেবল ক্যালাই থেকে আসা লোকজনের চেয়ে পুরো ফরাসি উপকূলরেখা ধরে ছোট ছোট নৌকাগুলি চালানোর বিস্তৃত এলাকা এই বৃহত এলাকা দিয়ে সুকৌশলে প্রবেশ করে ইমিগ্রেন্টরা। এই পথ বন্ধ করতে এই চুক্তি করা হয়।
তিনি বলেন- যে ফ্রান্স তারা গত বছরের চেয়ে এবার আরও বেশি নৌকা আটকাচ্ছে, কারণ সংখ্যাটি এত বেশি এবং উপরে যাচ্ছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন- কীভাবে সমুদ্রের জীবন বাঁচাতে হবে তার একটি ‘আলাদা ব্যাখ্যা’ রয়েছে। সেই ব্যাখা বা সেই পরিকল্পনা নিয়েই দুই দেশের মধ্যে কাজ করতে হবে।
বর্ডার ফোর্সের মহাপরিচালক পল লিংকন বলেছেন- ফ্রান্স গত বছর ২,১০০ টিরও বেশি নৌকা বাধা দিয়েছে, আর এ বছর এই সংখ্যা এখন ৬,০০০ এরও বেশি।