বিমান থেকে পড়ে মৃত্যু: আফগান উদ্ধারকারীর বয়ানে সেই দিনের ঘটনা
আন্তর্জাতিক সময়
গত সোমবার সকালে তালেবান আতঙ্কে যখন হাজার হাজার আফগান জনগণ কাবুল বিমানবন্দর দিয়ে কাবুল ছাড়ছিলেন তখন বাড়িতেই ছিলেন নিরাপত্তা প্রহরী ওয়ালি সালেক। কাবুল বিমানবন্দর থেকে চার কিলোমিটার দূরে একটি বাড়িতে থাকেন তিনি। সেই বাড়ির ছাদেই কাবুল থেকে উড়ে যাওয়া মার্কিন বিমানবাহিনীর সি-১৭ সামরিক বিমানে ঝুলতে থাকা দুজন পড়ে যান এবং সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয়।
৪৯ বছর বয়সী ওয়ালি জানান- আমার মনে মনে হয়েছিল ট্রাকে টায়ার বিস্ফোরণ হয়েছে। বের হয়ে দেখি আমার ছাদে দুজনের মরদেহ পড়ে আছে।
ওয়ালির সঙ্গে তখন তাঁর স্ত্রীও ছিলেন। তিনি ওই দুজনের মরদেহ দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
সালেক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেন- ওই দুজনের পাকস্থলী এবং মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। আমি একটি শাল এবং স্কার্ফ নিয়ে তাঁদের মরদেহ ঢেকে দেই এবং মরদেহগুলো মসজিদে নিয়ে যাই।
সালেক জানান- একটি মরদেহের পকেট একটি জন্ম নিবন্ধনের সার্টিফিকেট পান তিনি। সেখান থেকে জানতে পারেন মৃত ওই ব্যক্তির নাম সাইফুল্লাহ হোতাক। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক। পরে দ্বিতীয় মরদেহের পরিচয়ও নিশ্চিত হওয়া গেছে। সালেক জানান- দ্বিতীয় মৃত ব্যক্তির নাম ফিদা মোহাম্মাদ।
সালেক জানিয়েছেন- তাঁর বাড়িতে যাদের মরদেহ পাওয়া গেছেন তাঁদের বয়স ৩০-এর চেয়েও কম।
সালেকের পরিবারের মত কাবুলের এমন পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন সেখানকার অন্যান্য পরিবারগুলোও। এ প্রসঙ্গে সালেক বলেন- কাবুলের রাস্তাঘাট এখন জনশূন্য। আমরা জানি না এখানে কখন কী হয়।
কাবুল থেকে উড়ে যাওয়া মার্কিন বিমানবাহিনীর সি-১৭ সামরিক বিমানের চাকার মধ্যে আশ্রয় নিয়ে দেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন বেশ কয়েকজন আফগান বাসিন্দা। এদের মধ্যে কয়েকজন বিমান থেকে পড়ে মারা যান। কাতারে ওই বিমান অবতরণের পর মরদেহের অবশিষ্টাংশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।