২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আতিকের পরিবারে খোঁজ রাখে না কেউ
সময় সংগ্রহ
(২১ আগস্ট) গ্রেনেড হামলায় নিহত চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার পাঁচআনি গ্রামের আতিকুর রহমানের পরিবার ভালো নেই। চার সন্তান নিয়ে দুঃখে কষ্টে সংসার চালাচ্ছেন আতিকের স্ত্রী লাইলী বেগম (৫৫)। বড় মেয়ে তানিয়া আক্তারের (২৫) এইচএসসি পাসের পর চার বছর আগে বিয়ে হয়ে যায়। বড় ছেলে মিথুন (২২) সরকারি তোলারাম কলেজে এইচএসসি পাশের পর প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে সংসার চালাচ্ছেন। মেজ ছেলে মিন্টু (২০) অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। ছোট ছেলে শাকিব (১৭) স্থানীয় একটি কলেজে লেখাপড়া করছেন।
শুক্রবার বিকালে আতিকের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে আলাপচারিতায় স্ত্রী লাইলী বেগম জানান- ২১ আগস্ট আসলেই সাংবাদিকরা খোঁজ-খবর নেন। এছাড়া আর কেউ এই পরিবারের খোঁজ-খবর রাখেন না। আমার স্বামীর হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানাই। আর যেন কোনো স্ত্রী তার স্বামীকে অল্প বয়সে হারাতে না হয়।
নিহত আতিকুর রহমানের বড় ছেলে মিথন জানান- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে এক লাখ, তারপর সঞ্চয়পত্র ১০ লাখ, এফডিআর-এর জন্য ২০ লাখ এবং নগদ ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। এ ছাড়া আর কোনো সাহায্য আমরা পাইনি। আমাদের একটি চাকরির প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী যদি আমাদের চাকরির ব্যবস্থা করতেন তাহলে আমরা সচ্ছলভাবে জীবনযাপন করতে পারতাম।
আতিকের মা খোরশিদা বেগম জানান- ১৭ বছর ধরে ছেলের জন্য কেঁদে কেঁদে বুক ভাসিয়েছি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানাই। আমার সন্তানের হত্যাকারীদের ফাঁসি দেখে যেন যেতে পারি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী মিজানুর রহমান জানান- (২১ আগস্ট) বিকালে মরহুম আতিকুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আতিকুর রহমান ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ঢালাই শ্রমিকের কাজ করতেন। শ্রমিক লীগের সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে (২১ আগস্ট) আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি যোগদান করেছিলেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেদিন তাকে জীবন দিতে হয়েছিল ঘাতকদের গ্রেনেড হামলায়।