পিবিআই কর্মকর্তার ঘুষ লেনদেনের ফোনালাপ ভাইরাল
সময় সংগ্রহ
শনিবার বিকেলে নেত্রকোনায় পিবিআই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। এ–সংক্রান্ত একটি ফোনালাপ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা হলেন ধনরাজ দাস। তিনি পিবিআই নেত্রকোনা শাখায় পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
অভিযোগকারী আবুল হোসাইনের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন- পরিদর্শক ধনরাজ দাস তাঁকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে তিন দফায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এ–সংক্রান্ত সব তথ্যপ্রমাণ তাঁর কাছে রয়েছে।
আবুল হোসাইনের আবুল হোসাইনের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন- পরিদর্শক ধনরাজ দাস তাঁকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে তিন দফায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এ–সংক্রান্ত সব তথ্যপ্রমাণ তাঁর কাছে রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে জানতে ধনরাজের মুঠোফোনে শুক্রবার বিকেলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- ‘আমি ময়মনসিংহে আছি। শনিবার নেত্রকোনায় এসে সরাসরি আপনার সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে কথা বলব।’ শনিবার দুপুরে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- ‘আমি ঢাকায় যাচ্ছি, পরে এসে এ বিষয়ে কথা বলব।’ এ কথা বলে তিনি ফোন কেটে দেন। এরপর আরও বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে- ২০১৮ সালের ২০ জুলাই কেন্দুয়ার ডাউকি গ্রামের মসজিদের সামনে থেকে ওই গ্রামের সাবিজ মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কেন্দুয়া থানায় নিহতের বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে ওই মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।
তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুনকে। তিনি গত ৪ ডিসেম্বর সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ছয় দিন পর ১০ ডিসেম্বর ওই মামলার আসামি জিয়াউল ও পলাশের বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনা ঘটে অভিযোগ তুলে তাঁদের ভাই জুলহাস মিয়া গত ২০ জানুয়ারি কেন্দুয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় ৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকার মালামাল লুট ও ভাঙচুর করার কথা উল্লেখ করে এসে আসামি করা হয় খুন হওয়া জুয়েলের মা ললিতা আক্তার, ভগ্নিপতি আবুল হোসাইনসহ ছয়জনকে।