জামালগঞ্জে হাওরের বাঁধ কেটেছে দুষ্কৃতিকারীরা : চাষীদের মাথায় হাত
সময় সংগ্রহ
তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ, সুনামগঞ্জ থেকে : সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার পাকনা হাওরের বেড়িবাঁধ কেটে দিয়েছে দুষ্কৃতিকারী চক্র।
উপজেলার সর্ববৃহৎ ফসলী ভাণ্ডার খ্যাত ফেনারবাক ইউনিয়নের গজারিয়া ও কামধরপুরের মাঝখানের ভরাটকৃত ক্লোজারটি শনিবার (২১ আগস্ট) গভীর রাতে কেটে দেয়া হয়েছে। স্থানীয়রা ধারণা করছেন- মাছখেকোরা এই বেড়িবাঁধটি কেটে দিয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন গজারিয়া, কামধরপুর ও আলীপুর গ্রামের আমনচাষী কৃষকরা। ক্লোজার দিয়ে হাওরে পানি প্রবেশ করায় ফেনারবাক ইউনিয়নের আমনচাষীদের মাথায় হাত পড়েছে।
জানা যায়- গজারিয়া বেড়িবাঁধের ক্লোজার মাছ খেকোরা কেটে দেয়ায় প্রায় ৫০০/৬০০ বিঘা আমন ধান রোপণ করার স্বপ্ন ভেঙ্গে খানখান হয়ে গেছে কৃষকের। আমন ধান রোপণের জন্য বীজ বপন করা হলেও কৃষকের চোখের সামনে তলিয়ে গেছে বীজতলা।
গজারিয়া গ্রামের কৃষক প্রবেল মিয়া বলেন- দুষ্কৃতিকারী চক্র তাদের নিজেদের সামান্য লাভের আশায় আবুড়া বেড়িবাঁধ কেটে গজারিয়া, কামধরপুর, আলীপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজার কৃষক পরিবারের পেটে লাথি দিয়েছে। ওদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের নিকট দাবি জানান। কামধরপুর গ্রামের কৃষক তোফায়েল বলেন- বাঁধ কাটার কারণে আামাদের গ্রামের প্রায় কৃষকের আমন বীজতলা ডুবে গেছে। এতে আমাদের আনেক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাশরেফুল আলম বলেন- গজারিয়া বেড়িবাঁধটি কেটে দেয়ায় দু’হেক্টর আমন বীজতলা আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে এক হেক্টর বীজতলা পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। সঠিক সময়ে আমন চাষ করতে না পারলে এ অঞ্চলের কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব বলেন- গজারিয়া বেড়িবাঁধের ক্লোজারটি যারা কেটে দিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে অনুসন্ধান চলছে। আমি নিজেও বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিচ্ছি।