নষ্ট বাতির ভূতুড়ে সড়ক আম্বরখানা থেকে বিমানবন্দর
সময় সংগ্রহ

আহমদ ইমরান : সিলেট নগরীর আম্বরখানা-বিমানবন্দর রোডের দু’পাশের সড়ক বাতিগুলো দীর্ঘদিন থেকেই অকেজো হয়ে আছে। দু’পাশে চা-বাগান বেষ্টিত এ সড়কের বেশিরভাগ অংশেরই দু’পাশের বাতি নষ্ট। মাঝেমধ্যে এক-দুটি সড়কবাতি জ্বললেও তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। অথচ উঁচু-নিচু এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজারো মানুষ চলাফেরা করছেন। সেই সাথে রয়েছে বিমানবন্দর আসা-যাওয়া প্রবাসী, রাতে ট্রাক আর যাত্রী পরিবহণের সার্বক্ষণিক চাপ।
এদিকে সিলেটের এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির বৈদ্যুতিক বাতি দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট অবস্থায় থাকলেও তা ঠিক করতে নেই কোন উদ্যোগ। সড়ক ও জনপথ অফিস সিলেট বলছে- বাতিগুলো সিলেট সিটি কর্পোরেশন দেখভাল করে। আর সিলেট সিটি কর্পোরেশন বলছে- চৌকিদেখি পাম্প পর্যন্ত বাতিগুলো শুধু তারা দেখেন। বাকী অংশের বাতি দেখভালের দায়িত্ব সদর উপজেলা পরিষদের।
যদিও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান বলছেন- ‘সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাথে কথা বলবেন।’ এমন বাস্তবতায় তিন প্রতিষ্ঠান একে অন্যের উপর দায় চাপানোতে ভোগান্তি বাড়ছে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষের।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে- চৌকিদেখি পেট্রোল পাম্প থেকে সড়কবাতিগুলো নষ্ট। সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রবেশ পথের মূল ফটকের সামনে পর্যন্ত কোন বাতিই জ্বলে না। এরপর ছোট কালভার্ডের পাশে একটি বাতি জ্বলছে। একপাশের বাতি নষ্ট। এরপর নয়াবাজার পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে কোন বাতিই ঠিক নেই। অথচ এই জায়গার দুই পাশে রয়েছে চা-বাগান। আর সড়কের এই অংশটুকুতে রয়েছে কয়েকটি বাঁক ও উঁচু-নিচু। এই জায়গায় বৈদ্যুতিক বাতি না থাকায় রাতে গাড়ির চালকদের বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে। ঘটছে দুর্ঘটনাও। এছাড়া ছিনতাইয়ের ঘটনা তো আছেই।

তবে সড়কের এই অংশের ক্যাডেট কলেজের সামনে সড়কের একপাশে কয়েকটি বাতি ভালো আছে। যদিও নয়াবাজার থেকে বাইশটিলা পর্যন্ত কোথাও বাতি জ্বলছে না। অথচ এই জায়গায় রয়েছে বিমানবন্দরের প্রবেশ পথ, এয়ারপোর্ট থানা, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা দেয়ালসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এসব থাকতেও এই সড়কের বাতি দীর্ঘদিন থেকে নষ্ট থাকায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলছেন- দায়িত্বে অবহেলার কারণে দীর্ঘদিন থেকে আম্বরখানা-বিমানবন্দর সড়কে বাতিগুলো নষ্ট রয়েছে। এই সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও লাইটগুলো দীর্ঘদিন থেকে অকেজো। এটি কোনভাবেই কাম্য নয়। দ্রুত এসব লাইট ঠিক করার দাবিও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন- আমরা আম্বরখানা-বিমানবন্দর সড়কের লাইটগুলো দেখভাল করি না। আমরা আম্বরখানা থেকে চৌকিদেখি পেট্রোল পাম্পের পরের কালভার্ট পর্যন্ত লাইটগুলো দেখভাল করি। বাকী অংশের লাইট সদর উপজেলা পরিষদ দেখভাল করে।
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ বিষয়টি নিয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাথে আলোচনা করার কথা বলেছেন।
তিনি বলেন- ‘আমরা আগে একবার লাইটগুলো লাগিয়ে দিয়েছিলাম। বর্তমানে লাইট না জ্বললে সিলেট সিটি কর্পোরেশনে দেখার কথা। আমি আগেও তাদের সাথে কথা বলেছিলাম। আবারও এ নিয়ে তাদের সাথে কথা বলবো। কারণ এই সড়কে লাইটগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’




