প্রকৃতিকে পুনর্বাসন করা যায় না: জুড়ীতে সুলতানা কামাল
জুড়ী সংবাদদাতা
মৌলভীবাজারের সংরক্ষিত বন লাঠিটিলায় সাফারি পার্ক নির্মাণের বিরোধিতা করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন- বন যেভাবে জন্মেছে তাকে সেভাবেই থাকতে দেওয়া উচিত। জনগণ বা সংবিধান এটি পরিবর্তন করার অধিকার কাউকে দেয়নি। মানুষকে পুনর্বাসন করা যায়। কিন্তু প্রকৃতিকে পুনর্বাসন করা যায় না। সাফারি পার্ক হলে বনের চরিত্র পরিবর্তন হয়ে যাবে। যে পশু-পাখি আছে, তারা আর থাকতে পারবে না।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নে লাঠিটিলা বন পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন- অনেকে বলছেন অনেক কষ্ট করে ৯৮০ কোটি টাকার প্রকল্প এনেছেন। এখন যে যেভাবে পারছেন নিজের স্বার্থে প্রকল্প আনছেন। এটা আমাদের জাতীয় চরিত্র হয়ে গেছে। কষ্ট করে প্রকল্প এনেছি- এটা তো কারও বক্তব্য হতে পারে না।
বাপা’র সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন- এ ধরনের বনে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা, এমনকি প্রবেশও নিষেধ। সাফারি পার্ক হলে সেখান পর্যটকদের জন্য নানা অবকাঠামো, বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন, উপকেন্দ্র’সহ ভারী অবকাঠামো নির্মাণ হবে। সেখানে বছরে ৮ থেকে ১০ লাখ দর্শনার্থী আসবেন বলে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন- এমন একটি সংরক্ষিত বনে সাফারি পার্ক না করে বনটি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে সবাই উপকৃত হবে।
পরিদর্শক দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন- বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন সিলেটের সহ-সভাপতি এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজিয়া চৌধুরী, ভাষা শহীদ আব্দুল মতিন মিউজিয়ামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বাহার, বাপা সিলেটের আদিবাসী বিষয়ক কমিটির সমন্বয়ক ফাদার যোসেফ গমেজ ওএমআই, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জহিরুল হক শাকিল, বাপা মৌলভীবাজারের আ স ম সালেহ সোহেল, বাপা হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল প্রমুখ।