আওয়ামী লীগ মূল জায়গাটায় আসে না: মির্জা ফখরুল
সময় সংগ্রহ
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, আমি নাকি তাঁর কথার উত্তর দিই না। উনি কী পত্রিকা পড়েন? তাঁর প্রতিটা কথার উত্তর শুধু না, আমরা সঠিক সত্যকে তুলে ধরি সব সময়। উনি গতকাল বলেছেন, ছবি দেখাতে। কী বলব বলেন এখন? এসব কথার জবাব দিতে গেলে মানহানির মামলা করবেন। সেই ধরনের কথা আমাদের রুচিতে বাধে যে ছবি দেখাতে বলেন, অমুক করতে বলেন। এটা তো কাজ না।’
চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘দাফন হয়েছে, লাখ লাখ লোক জানাজায় শরিক হয়েছে। তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদ (এইচ এম এরশাদ) সাহেব নিজে জিয়াউর রহমানের বডি ক্যারি করেছেন। ইট ইজ এ ওপেন ক্লিয়ার, ক্রিস্টাল ক্লিয়ার। এর চেয়ে বড় সত্য কিছু আর হতে পারে না। আজকে আপনাদের (সাংবাদিক) দিয়ে প্রশ্ন করিয়ে সেই কথাগুলোকে আবার সামনে নিয়ে আসা, এটা হচ্ছে মানুষের দৃষ্টিকে অন্য দিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটা চেষ্টামাত্র।’
জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে বক্তব্যে ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে আঘাত এসেছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কখন কী দেন, কীভাবে দেন, কেন দেন—এটা এখন পর্যন্ত ঠিক আমাদের কাছে বোধগম্য হয়নি। গতকাল যেসব বক্তব্য দিয়েছেন, এটা সাধারণ মানুষ কখনো ভালোভাবে নেয়নি। জিয়াউর রহমান এ দেশের মানুষের হৃদয়ে আছেন।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘অযথা ওনাকে (জিয়াউর রহমান) নিয়ে টানা, শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবকে টানা—এগুলো আমরা করতে চাই না। উনারা আমাদের সবার শ্রদ্ধেয় নেতা। তাঁদের সেই জায়গাতেই রাখা উচিত। এটা জাতির জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য খুবই দুঃখজনক যে এ দেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে যাঁদের অবদান আছে, যাঁরা স্বাধীনতাযুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন— মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতা তাঁদের সম্পর্কে এই সমস্ত নোংরা কথা যখন বলা হয়, তখন বোঝা যায়, তাঁরা কতটা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে।’
বিএনপির মহাসচিব জানান, জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যকে ‘রুচিহীন’ মিথ্যাচার অভিহিত করে গতকাল শুক্রবার দলের স্থায়ী কমিটির সভায় এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি করা হয়।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকেরা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘উনার (ওবায়দুল কাদের) কথায় বোঝা যায়, এত দিন করোনার কারণে নয়, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নয়, আন্দোলনকে ঠেকানোর জন্য তাঁরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রেখেছেন।’