এড. মাওলানা রশীদ আহমদ ছিলেন বিশ্বস্ত অভিভাবক, প্রানের পতাকা
মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার
এডভোকেট মাওলানা রশীদ আহমদ চলে গেছেন না ফেরার দেশে। ৬৩ বছরের বর্ণিল জীবনে রেখে গেছেন অজস্র ভক্ত, কর্মী, রাজনৈতিক বন্ধু-সহযোদ্ধা, শুভাকাঙ্ক্ষী ও আপনজন। যার মৃত্যুতে শোকাহত পুরো সিলেট। শোকে ভাসছে স্যোসাল মিডিয়া। গত ১৫ আগস্ট রশীদ ভাইয়ের সাথে জীবনের শেষ সমাপনী কথা হয়। এদিন সকালে ফোন রিসিভ করে আমাকে (আদর-ভালবাসা-মধুর সুরে বললেন- এই ভূত আমি অসুস্থ) আজ বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি হবো আমার জন্য দোয়া করিও। কে জানতো জীবনের এই শেষ কথা বললাম ভাইয়ের সাথে, আর কোনোদিন কথা বলা হবে না। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর সাতদিনের মাথায় গত সোমবার দুপুরে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন মহান প্রভু আল্লাহ তায়ালার ডাকে সাড়া দিয়ে।
সিলেটের গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের মানুষকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিলো তাঁর। নেশা ছিলো সমাজের সেবা করার, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। এ দুই উপজেলার মানুষের সুখে-দুঃখে যাকে সর্বাগ্রে পাওয়া যেতো তিনি এডভোকেট মাওলানা রশীদ আহমদ।
স্ত্রী, ৪ সন্তান, ঘনিষ্টজন, আত্মীয়-স্বজন, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অসংখ্য সহযোদ্ধা-কর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে সোমবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১১টায় মাওলানা রশীদ আহমদ পাড়ি জমান পরপারে। তাঁর চলে যাওয়ায় শোকে কাতর পুরো সিলেট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে দল-মত নির্বিশেষে সবাই তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন, নিরবে কাঁদছেন সবাই।
এডভোকেট মাওলানা রশিদ আহমদ সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের হাজিপুর লামাপাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারে ১৯৫৮ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন।
এডভোকেট মাওলানা রশীদ আহমদ ছিলেন সুবক্তা, ইসলামিক ভাষ্যকার ও দ্বীনের এক দায়িত্বশীল দায়ী। ছিলেন মসজিদের মিম্বরের খতিব। ছিলেন বাংলা, ইংরেজি, উর্দু ও আরবি ভাষায় পারদর্শী এক বিদগ্ধজন। ছিলেন বিশ্লেষক, কলামিস্ট ও অনুবাদক। সাংবাদিকতায় ছিলেন যোগ্য কলমসৈনিক ও সম্পাদক। রাজনীতি ও সামাজিকতার অঙ্গনে দেশ-জনপদের প্রকৃত সেবক ও নেতা ছিলেন মাওলানা রশীদ আহমদ। কর্মেই ফুটে ওঠেছিলো তার নাম, কর্মেই বেঁচেছিলেন তিনি। মারা গেলেন কর্মের মধ্যেই। মানুষ হাসুক, মানুষ বাঁচুক, এটাই ছিলো তার কর্মের টার্গেট। তিনি সফলও হয়েছিলেন এ ক্ষেত্রে। নিজ কর্মযজ্ঞে তিনি মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছিলেন। শুধু গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে তার চিন্তা চেতনা মন হৃদয়ে বিরাজ করতো।
এডভোকেট মাওলানা রশিদ আহমদ সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের হাজিপুর লামাপাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারে ১৯৫৮ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর গর্বিত বাবা মরহুম মাহমুদ হোসেন ও মা মরহুমা শফিকুন্নেছা। বিবাহিত জীবনে তিনি ৪ সন্তানের জনক। ফার্স্ট ক্লাসে উত্তীর্ণ হন কামিল ফিল হাদিস। পাস করেন বিএএল এলবি। মৃত্যুপূর্ব সময়ে তিনি সিলেট বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও আইন পেশায় সক্রিয় ছিলেন। সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন সাপ্তাহিক গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার সংবাদ। যেটি সিলেট অঞ্চলের সর্বাধিক জনপ্রিয় নিয়মিত সাপ্তাহিক পত্রিকা।
এডভোকেট মাওলানা রশিদ আহমদ সিলেট বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও আইন পেশায় সক্রিয় ছিলেন। সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন সাপ্তাহিক গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার সংবাদ। যেটি সিলেট অঞ্চলের সর্বাধিক জনপ্রিয় নিয়মিত সাপ্তাহিক পত্রিকা।
দেশে এসে সমাজসেবায় জড়িয়ে পড়ার আগে এডভোকেট মাওলানা রশিদ আহমদ ছিলেন লন্ডন গাইজ সেইন্ট থমাস হসপিটাল এন এইচ এস ট্রাস্ট-এর লিভ মুসলিম চ্যাপলেইন। ওই পদে স্বাস্থ্যসেবায় ইসলামের দিক-নির্দেশনা প্রদান ও মুসলিম কমিউনিটির স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধর্ম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ইয়াহুদি ধর্মযাজকদের সাথে টিম মেম্বার হিসেবে প্রায় অর্ধ যুগেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন তিনি। লন্ডন আল ফালাহ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও দারুল আমান ইসলামিক সেন্টারের খতিব ও পেশ ইমাম ছিলেন। বাংলা টিভি সোনালী বাংলা চ্যানেল ইকরা টিভি ও লন্ডনের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের ইসলামিক প্রোগ্রাম উপস্থাপক ছিলেন। লন্ডন রেডিও বাংলা ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। স্পেকক্ট্রাম রেডিও লন্ডনের বেতার কথক, সাপ্তাহিক নতুনদিন লন্ডনের নিয়মিত কলামিস্ট, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার সহকারি অধ্যাপক ছিলেন। সৌদি আরবের জেদ্দায় থাকাকালীন সময় ইংরেজি আরবি অনুবাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়াও রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে বিভিন্ন সংস্থার সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সিলেট-এর সহ-সভাপতি, সাংবাদিক ইউনিয়ন সিলেট বিভাগের আহ্বায়ক, শত নাগরিক কমিটি বৃহত্তর সিলেট বিভাগের প্রথম যুগ্ম-আহ্বায়ক, জিবি লিগ্যাল এইড-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, মাহমুদ হোসাইন অ্যাডুকেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, মাহমুদ হোসাইন মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, আল ফালাহ ইসলামিক ফাউন্ডেশন লন্ডনের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি, মাদ্রাসা-ই-আলিয়া সিলেট প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ যুক্তরাজ্যের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, এশিয়ান সোশাল এন্ড হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের আশা) ভাইস প্রেসিডেন্ট, অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্রিটিশ হজ এন্ড ওমরা এজেন্সিজ (আবহা)-এর উপদেষ্টা, গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার যুব ও ছাত্র সংঘের প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের (৬ টি স্থানে) ফ্রি ইংরেজি শিক্ষা ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সিলেট-এর সদস্য।
মাওলানা রশীদ আহমদ ১৯৯৩ সাল থেকে নিয়মিত ব্রিটিশ হজ গ্রুপ-এর গাইড হিসেবে কর্ম সম্পাদন করে আসছেন। লিখেছেন অনেকগুলো মূল্যবান বই।
মাওলানা রশীদ আহমদ ১৯৯৩ সাল থেকে নিয়মিত ব্রিটিশ হজ গ্রুপ-এর গাইড হিসেবে কর্ম সম্পাদন করে আসছেন। লিখেছেন অনেকগুলো মূল্যবান বই। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- হজ গাইড বাংলা ও ইংরেজিতে লিখিত এবং এসোসিয়েশন অব ব্রিটিশ হজ এন্ড ওমরাহ এজেন্সি আবহা কর্তৃক প্রকাশিত ইন সার্চ অব এ ট্রু (ইংরেজি), একটি বিশুদ্ধ হজের সন্ধানে (বাংলা), হজ উমরা এন্ড দিয়ারা রাইটস অ্যান্ড সাপ্লিকেশনস (ইংরেজি), হজ ও উমরা ও যিয়ারত পালন পদ্ধতি ও দোয়া (বাংলা), রামাদানের পয়গাম (বাংলা), বিশ্বনবীর বহুবিবাহ (বাংলা), মৃত্যুর পরে কি হবে (অনূদিত বাংলা), ওয়াহাবি আন্দোলন ও শায়খুল ইসলাম মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহাব (অনূদিত বাংলা), মসনদের মোহ (রাজনৈতিক কলাম সংকলন), সময়ের দাবি (কলাম সংকলন) একুশে বই মেলায় প্রকাশিত। দুয়া ও জিকির (কোরআন হাদিস থেকে বাংলা)।
এছাড়াও প্রকাশনার অপেক্ষায় আছে- পলিগেমি অব দি ইউনিভার্সেল প্রফেট (ইংরেজি), ইসলামী দৃষ্টিপাত (বাংলা), নির্বাচিত খুতবা (বাংলা), ফেয়ারওয়েল হজ অফ দি ইউনিভার্সেল প্রফেট (ইংরেজি), বিশ্ব নবীর বিদায় হজ (বাংলা), নবুয়তের সোনালী কিরণ।
সেবামূলক কর্মকান্ডের প্রতি এডভোকেট মাওলানা রশীদ আহমদের আকর্ষণ ছিল সবচেয়ে বেশি। ছাত্রজীবনে তিনি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক সমিতি, নৈশ্য বিদ্যালয়, পাঠাগার, দরিদ্র তহবিল ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার প্রতিষ্ঠিত সংগঠন সমূহের অন্যতম হচ্ছে- আল ফালাহ ইসলামিক ফাউন্ডেশন লন্ডন, মাহমুদ হোসাইন এডুকেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ, মাহমুদ হোসাইন মহিলা মাদ্রাসা হাজীপুর গোলাপগঞ্জ, আহমদ রশিদ মেডিকেল সার্ভিস হেতিমগঞ্জ, সাপ্তাহিক গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার সংবাদ, গোলাপগঞ্জ বিয়ানীবাজার যুব ও ছাত্র সংঘ, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের ৬ টি স্থানে ফ্রী ইংরেজি শিক্ষা ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
জীবদ্দশায় এডভোকেট মাওলানা রশিদ আহমদ ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সিরিয়া, মিশর, কুয়েত, আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, বাহরাইন, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন, ফ্রান্স ও জার্মানিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর নীতি ও আদর্শ এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শণে গভীরভাবে আস্থাশীল মরহুম এডভোকেট মাওলানা রশিদ আহমদ সিলেট জেলা ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি-কে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে মনেপ্রাণে কাজ করেছেন।
সিলেট জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি ও উপদেষ্টা এবং বর্তমান গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির ১নং সদস্য এডভোকেট মাওলানা রশীদ আহমদ। সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর নীতি ও আদর্শ এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শণে গভীরভাবে আস্থাশীল মরহুম এডভোকেট মাওলানা রশিদ আহমদ সিলেট জেলা ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি-কে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে মনেপ্রাণে কাজ করেছেন। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন সংগ্রামে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল প্রশংসনীয়। মৃত্যু পুর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত রশীদ আহমদ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে শহীদ রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত ছিলেন । তিনি ছিলেন একজন সৎ ও সজ্জন মানুষ। তার ইন্তেকালে আমি তার শোকাহত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি। মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে দোয়া করি তিনি যেন তার শোকার্ত পরিবারবর্গকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা দান করেন।
এডভোকেট মাওলানা রশীদ আহমেদের সাথে আমার দীর্ঘদিনের পথচলা। তিনি ছিলেন আমার (অভিভাবকতুল্য) বড়ভাই। আমার বাবা ২০১৭ সালে ইন্তেকালের পর যখন আমি অভিভাবক হারানো ঠিক সেই সময়ে তিনি আমাকে বাবার মতো ছায়া দিয়ে রেখেছিলেন মৃত্যু পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত। আজ তিনিও চলে গেলেন পরপারে, না ফেরার দেশে। আমাকে এতিম করে।
গত ২৩ শে আগস্ট ২০২১ ইংরেজি সোমবার সকাল ১১টার দিকে সিলেট নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে এডভোকেট মাওলানা রশীদ আহমদ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এডভোকেট মাওলানা রশীদ আহমদ ছিলেন আমার বিশ্বস্ত অভিভাবক, প্রাণের পতাকা। তিনি আমার জীবনের মধ্যে প্রাণের পতাকা হিসাবে জড়িয়ে আছেন এবং জড়িয়ে থাকবেন সারাটি জীবন। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবর্গ, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট মাওলানা রশীদ আহমদ। গত ২৩ শে আগস্ট ২০২১ ইংরেজি সোমবার সকাল ১১টার দিকে সিলেট নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মাওলানা রশীদ আহমদ এক সপ্তাহ ধরে সিলেট নগরীর উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছিল।
এডভোকেট মাওলানা রশীদ আহমদ ছিলেন আমার বিশ্বস্ত অভিভাবক, প্রাণের পতাকা। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
এডভোকেট মাওলানা রশিদ আহমদের নামাজে জানাযা মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টায় গোলাপগঞ্জের এমসি একাডেমি মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে তাঁর নিজ বাড়ি হাজিপুর লামাপাড়া (বায়তুল মাহমুদ) সংলগ্ন স্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
বিশিষ্ট রাজনীতিক, লেখক গবেষক ও খ্যাতিমান আলেমেদ্বীন, খ্যাতিমান দ্বায়ী লন্ডন প্রবাসীদের খাদিমুল হজ্জাজ এডভোকেট মাওলানা রশীদ আহমেদের ইন্তেকালে আমি গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। দোয়া করি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেন রশীদ আহমদ এর সকল প্রকার ইসলামি খেদমত কবুল করুন আমিন। একইসাথে দেশে-বিদেশে জীবন চলার পথে বান্ধা হিসেবে তাঁর যে সকল ভুলভ্রান্তি হয়েছে, আল্লাহপাক যেন ক্ষমা করে দেন। তাঁর এই মৃত্যুকে শাহাদাতের মৃত্যু হিসেবে কবুল করুন, পরকালে তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চ আসনে সমাসীন করুন আমিন।
লেখক : নির্বাহী সম্পাদক- দৈনিক আপন আলো, সাবেক কাউন্সিলর- বিএফইউজে বাংলাদেশ ও সদস্য ডিইউজে।