কমলগঞ্জে ফের মুখরিত ক্যাম্পাস, প্রাণ উচ্ছল শিক্ষার্থীরা
কমলগঞ্জ সংবাদদাতা
নির্মল এস পলাশ, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) থেকে : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় সরকার ঘোষিত উনিশ দফা নির্দেশনা মেনে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পদচারণায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে। দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণে আসতে পেরে শিক্ষার্থীরাও উচ্ছ্বসিত। দীর্ঘ দেড় বছর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। তাই অন্যরকম এক প্রাণ ফিরেছে ক্যাম্পাসগুলোতে।
আনন্দঘন পরিবেশে ২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও ষষ্ঠ শ্রেণির ক্লাস শুরু হয়। করোনা মহামারির কারণে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষাদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে। ফলে শিক্ষার্থীরা আসতে পারেনি তাদের প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সহপাঠীদের ছেড়ে দীর্ঘ দেড় বছর বাড়িতে কেটেছে একপ্রকার বন্দি অবস্থায়। দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হওয়ায় আবারও বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আসতে পেরে খুশি তারা।
জানা যায়- উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ৯ টি ইউনিয়নে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২২ টি ও প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৫২টি, ৫টি মাদরাসা, ৮টি জুনিয়র বিদ্যালয়, ৪টি কলেজ ও ৩০টি কেজি স্কুল রয়েছে। গতকাল স্কুল খোলার সময় প্রায় প্রতিটি বিদ্যালয়েই জীবানুনাশক পানি দিয়ে হাত ধৌতকরা, সমাজিক দুরত্ব বজায় রাখা, শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা নিশ্চিত করন করতে দেখা যায়। এছাড়া এসব কার্যক্রম শেষে কোন কোন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের প্রিয় শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কক্ষে প্রবেশের পূর্বে ফুল উপহার দিয়ে বরন করে নিতে দেখা গেছে।
কমলগঞ্জ উপজেলার কমলগঞ্জ মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মকবুল আলী উচ্চ বিদ্যালয়র, কমলগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভানুগাছ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শমসেরনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় কালী প্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয় মুন্সিবাজার, দয়াময় সিংহ উচ্চ বিদ্যালয়, ভান্ডারীগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয় সহ প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা পরিমাপ করে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের পর শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে তুলে দেওয়া হয় ফুল।
কমলগঞ্জ উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সামসুন নাহার পারভীনের সাথে আলাপকালে বলেন- স্কুল সমুহের স্বাস্থ্য বান্ধব পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আমাদের তদারকী অব্যাহত থাকবে।
অপরদিকে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন- স্কুল সমুহের স্বাস্থ্যবিধি মানানোর জন্য নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রম চলমান থাকবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন- সরকারি নির্দেশনা মতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে কিনা সেদিকে উপজেলা প্রশাসন কঠোর নজরদারি করবে।