দোয়ারাবাজারে ৯টি ইউনিয়ন নির্বাচনে নৌকা’র জন্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ
দোয়ারাবাজার সংবাদদাতা
শাহ্ মাশুক নাঈম, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) থেকে : আসছে ১১ নভেম্বর সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে তারা দলীয় হাইকমান্ডসহ জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে জোর লবিং গ্রুপিং চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে প্রায় ৫০ জনের বেশি সম্ভাব্য প্রার্থী তৎপরতা চালাচ্ছেন। এ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল। ওই নির্বাচনে সুরমা, নরসিংপুর ও দোহালিয়া ৩টি ইউনিয়নে নৌকা বিজয়ী হয়। দোয়ারাবাজার সদর, বোগলাবাজার ও মান্নারগাও ৩টি ইউনিয়নে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জয়ী হন।
অন্যদিকে পান্ডারগাও ইউনিয়নে বিএনপির বিদ্রোহী প্রাথী বিজয়ী হয় এবং বাংলাবাজার ও লক্ষীপুর ইউনিয়ন ২টিতে আওয়ামীলীগের বিদ্রাহী প্রার্থী জয় পান।
সুরমা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন খন্দকার মামুনুর রশিদ। তিনি এবারও নৌকা প্রতীক প্রত্যাশী। এছাড়া এ ইউনিয়নে মনোনয়ন দৌড়ে আরো আছেন আব্দুল হালিম বীর প্রতীক তাজুল ইসলাম, মইনুল ইসলাম।
নরসিংপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন নুর উদ্দিন। তিনি এবারও প্রতীক দলীয় মনোনয়ন চাইছেন। এছাড়া এই ইউনিয়ন মনোনয়ন দৌড়ে আরো আছেন কামরুজ্জামান ভুঁইয়া রুবেল, স্বপন মিয়া, কয়ছর আহমেদ চৌধুরী, নুরুল আমিন।
দোহালিয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন কাজী আনোয়ার মিয়া আনু। তিনি এবারও প্রতীক দলীয় মনোনয়ন চাইছেন। এছাড়া এই ইউনিয়ন মনোনয়ন দৌড়ে আরো আছেন শামীমুল ইসলাম শামীম, নুর মিয়া’সহ আরো ২/৩ জন।
বাংলাবাজার ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ও প্রচারনায় আছেন বর্তমান চেয়ারম্যান জসিম আহমেদ চৌধুরী রানা। মনোনয়ন দৌড়ে আরো আছেন রোটারিয়ান এম আবুল হোসেন, আমিনুল ইসলাম সেলিম, মানিক মিয়া, তোফায়েল আহমেদ, ইব্রাহিম খলিল।
লক্ষীপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ও প্রচারনায় আছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আমিরুল হক। মনোনয়ন দৌড়ে আরো আছেন আপ্তাব উদ্দিন মেম্বার, আব্দুল কাদির, জহিরুল ইসলাম, মোশারফ হোসেন নজরুল, আলহাজ্ব খলিলুর রহমান।
বোগলাবাজার ইউনিয়টি বর্তমানে বিএনপির দখলে আছে। তারপরেও এই ইউনিয়নে দলীয় নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দৌড়ে আছেন মোহাম্মদ মিলন খান, সাবেক চেয়ারম্যান আহমদ আলী আপন,আবু বকর সিদ্দিক, হাবিবুর রহমান শেখচান, মাসুক রানা’সহ আরো ৩/৪ জন।
দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়টি বর্তমানে বিএনপির দখলে আছে। তারপরেও এই ইউনিয়নে দলীয় নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দৌড়ে আছেন আবুল মিয়া, আব্দুল হামিদ, তাজির উদ্দিন, আলী আকবর, দেলোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান মিজু, খোকন রায়।
মান্নারগাও ইউনিয়টি বর্তমানে বিএনপির দখলে আছে। তারপরেও এই ইউনিয়নে দলীয় নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দৌড়ে আছেন আব্দুল হান্নান, বরুন চন্দ্র দাস, হারুন মিয়া, সহিদুল ইসলাম, অসিত তালুকদার’সহ আরো ৭/৮ জন।
পান্ডারগাও ইউনিয়টি বর্তমানে বিএনপির দখলে আছে। তারপরেও এই ইউনিয়নে দলীয় নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দৌড়ে আছেন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহিদ, আলী আকবর, হুমায়ুন কবির’সহ আরো ২/৩ জন।
তবে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করতে আগ্রহী প্রার্থীর সংখ্যা গতবারের থেকে দ্বিগুণ। কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি তা পরিষ্কার হবে মাসের ১০ তারিখে। এরপর ১৭ অক্টোবরের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচন কমিশন অফিসে মনোনয়ন পেপার সংগ্রহ ও জমা করতে হবে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২০ অক্টোবর। বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর। আপিল নিষ্পত্তি ২৪ ও ২৫ অক্টোবর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৬ তারিখ। এরপর প্রতীক বরাদ্দ ২৭ অক্টোবর।
যদিও অক্টোবরের ১০ তারিখেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত একক প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে মাঠ চষে বেড়াতে চাইলেও ২০ অক্টোবর বাছাই প্রক্রিয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত অপেক্ষা করতে হবে। ১১ তারিখই ভোটের সমীকরণ শেষ হবে। কেউ পড়বে জয়মাল্য; কেউবা পুনঃ আশায় বুক বাঁধবে।