গোলাপগঞ্জে আমনে বাজিমাত: পোষাবে আউশের ক্ষতি
গোলাপগঞ্জ সংবাদদাতা
এপ্রিল-মে মাসে পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি না হওয়ায় গোলাপগঞ্জ উপজেলার অনেক কৃষক আউশ ধান রোপণ করতে পারেননি। যে কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে ধান কম চাষ হয়েছে। এজন্য অনেকটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে কৃষকদের। তবে এবারের আমন ধান দিয়ে সেই ক্ষতি পোষাতে চান কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ‘এবার আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ১৫০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার হেক্টর বেশি আছে। এবার ব্রি ধান- ১১, ১৭, ২২, ২৩, ৪৯, ৫১, ৫২, ৭১, ৭৫, ৮৭ জাতের ধান রোপন করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ব্রি-১১ জাতের ধান ৯০০-১০০০ হেক্টর, ২২-২৩ জাতের ধান ৬০০-৭০০ হেক্টর, ৪৯ জাতের ধান ৭০০-৮০০ হেক্টর, ৫১-৫২ জাতের ধান ৪০০-৫০০ হেক্টর, ৮৭ জাতের ধানের ৪০০-৫০০ হেক্টরসহ সব জাতের ধান এরকম ৪০০-৫০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।
এই ধান ঘরে তুলতে উপজেলা কৃষি অফিস বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে লিফলেট বিতরণ, ইঁদুর দমন, ভ্রাম্যমাণ ফসল ক্লিনিক, উঠান বৈঠক, দলীয় আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এছাড়াও নিয়মিতভাবে রোগ ও পোকার আক্রমণ সংক্রান্ত পূর্বাভাস জরিপ করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সব জমিতে এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যেদিকে চোখ যায় সেদিকে সবুজের সমারোহ।
উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের কৃষক মাহতাব উদ্দিন বলেন, ‘এবার বৃষ্টির কারণে আউশ ধান রুপন করতে পারিনি। তবে আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি। ১০ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি।’
পৌর এলাকার কৃষক জমির মিয়া বলেন, ‘যেভাবে ধানের ফলন দেখা যাচ্ছে, শেষ পর্যন্ত ঘরে তুলতে পারলে সারা বছরের চাল হয়ে যাবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান জানান, ‘এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আমাদের ১ হাজার হেক্টর বেশি ধরা হয়েছে। বর্তমানে যে সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে, আশা করছি এবার আমনের বাম্পার ফলন হবে। চলতি বছর আউশ ধান আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ২০০ হেক্টর কম হয়েছে। আমন ধান দিয়ে আমরা আউশের ক্ষতি পোষাতে পারব।’