সিলেটে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের সেমিনার অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টার
‘মহানবী হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ পৃথিবীতে এসেছিলেন মানব দানব সকলের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। ইসলামে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষ সকল মানুষের মানুষ হিসেবে অধিকার সমান। বরঞ্চ সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় সংখ্যাগরিষ্টরা সব সময় সক্রিয় থাকা উচিত। বিশ্বনবী সা. এর জীবনাদর্শ অনুসরণের মাধ্যমেসমাজে শান্তি ও রাষ্ট্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব।’
শনিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত সিলেট জেলা শাখা আয়োজিত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপলক্ষে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত সিলেট জেলা শাখার সভাপতি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফখরুল আনাম খানের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের ভাইস চেয়ারম্যান শায়খুল হাদীস অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর।
বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ ইউ শহীদুল ইসলাম শাহীন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. পাবেল শাহরিয়ার, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসার দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান মাওলানা জিয়াউল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, মাওলানা খাজা মঈন উদ্দিন আহমদ জালালাবাদী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেন- মহানবী হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ পৃথিবীতে এসেছিলেন মানব দানব সকলের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। তিনি সম্প্রতি হিন্দুদের বিভিন্ন পূজামণ্ডপে এবং ভারতের বিভিন্ন মসজিদে হামলার নিন্দা করে বলেন ইসলামে সাম্প্রদায়িকতার কোন স্থান নেই। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষ সকল মানুষের মানুষ হিসেবে অধিকার সমান। বরঞ্চ সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় সংখ্যাগরিষ্টরা সব সময় সক্রিয় থাকা উচিত।
অতিথিবৃন্দ বলেন- মানবতার মুক্তি দূত মহানবী হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হচ্ছেন গোটা মানবজাতির প্রতি রহমত স্বরুপ। তিনি মুসলিম উম্মাহর জীবন পরিচালনার সর্বোত্তম আদর্শ। বিশ্বনবী অন্ধকার যুগ থেকে পৃথিবীকেআলোকিত করেছেন। গোটা দুনিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করে বুঝিয়ে গেছেন কুরআন হাদীসের অনুসরণই দুনিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে। মানবতার মুক্তি সনদ মহাগ্রন্থ আল কুরআন ও নবীজীর সুন্নাহ আজো আমাদের মাঝে অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। আমরা যদি ব্যক্তিগত, পেশাগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে বিশ্বনবীকে অনুসরণ করতে পারি। তাহলে ইকালিন সাফল্য ও পরকালিন মুক্তি নিশ্চিত করা সম্ভব।