শান্তিগঞ্জে ইউপি নির্বাচনই এখন ‘টক অব দ্য উপজেলা’
সময় সংগ্রহ
নোহান আরেফিন নেওয়াজ, শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) থেকে : তৃতীয় ধাপে শান্তিগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৮ নভেম্বর। ফলে ভোটের প্রচারে সরগরম শান্তিগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) প্রতীক বরাদ্দের পর পুরোদমে নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা। চলছে মিছিল-মিটি, গণসংযোগ ও সভা। ভোটারদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে প্রার্থীদের প্রতীক সম্বলিত পোস্টার-লিফলেট।
বিজয় নিশ্চিতে মরিয়া প্রার্থীরা নানাভাবে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন। ভোটগ্রহণের মাত্র ১৪ দিন বাকি থাকায় দম ফেলার ফুরসত নেই প্রার্থীদের। এরই মধ্যে নিজের পক্ষে তুলতে হবে ভোটের জোয়ার।
এজন্য নতুন নতুন ছক নিয়ে মাঠ গরমের চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রার্থী-সমর্থকরা। গ্রামীণ জনপদের এই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের হাটবাজার, রাস্তাঘাট- সর্বত্রই ব্যানার-পোস্টারে ছেঁয়ে যাচ্ছে। সর্বত্রই বিরাজ করছে উৎসবের। প্রার্থীরা ভোটারদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন, বুকে টেনে নিচ্ছেন প্রবীণদের। প্রবীণ নারী-পুরুষ ভোটারদের হাত নিজের মাথায় রেখে আশীর্বাদ চাচ্ছেন। প্রবীণদের পাশাপাশি তরুণদের মন জয়েও প্রার্থীরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। প্রার্থী ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন, দলীয় কর্মী-সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীরাও ভোটের মাঠে। সদ্যবিদায়ী চেয়ারম্যানরা ৫ বছরের ফিরিস্তি তুলে আবারও ভোট চাইছেন ভোটারদের কাছে। নতুন প্রার্থীরা এলাকার উন্নয়নে দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। ফলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আলোচনাই এখন ‘টক অব দ্য উপজেলা।
নির্বাচন উৎসবে নীরব বসে নেই ভোটাররাও। চায়ের দোকান আর খাওয়ার রেস্টুরেন্টে বসে ভোটাররাও যোগ্য জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের অঙ্ক কষতে শুরু করেছেন। নির্বাচনের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে সবখানে। তবে কেউ কেউ বলছেন, ভোট নিয়ে চাপা উত্তেজনাও আছে। রয়েছে কিছু উদ্বেগ-আশঙ্কাও। তবে সব ছাপিয়ে উপজেলার প্রতিটি পাড়া-মহল্লা এখন ভোট উৎসবে সরগরম।
তবে সুষ্ঠু ও শান্তিপ্রিয় নির্বাচন উপহারের আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রেজাউল করিম। তিনি বলেন- ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে আমরা সব ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছি। উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে- উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন ৪৩ জন, মেম্বার পদে ৩৪৩ জন এবং মহিলা মেম্বার পদে ৯৫ জন।