হেদায়াত দেয়া এবং তার উপর অটল থাকা সব আল্লাহর ইচ্ছা : মুফতি আবুল কালাম আযাদ
আখতার হুসাইন

মুফতি আবুল কালাম আযাদ; সমাজের অনুসরণীয় কারো চরিত্র অতিরিক্ত সুন্দর না হলে কিংবা তার চলাফেরা পূর্ণ নিষ্কলুষ না হলে আমরা বলে থাকি- ‘তিনি তো আর কা’বার ইমাম নন যে এমনটা তার থেকে হবে না!।’
কেননা- আমাদের ধারণা আল্লাহর ঘরের ইমাম অন্তত দুনিয়ার সব কলুষতা থেকে মুক্ত থাকবেন। খাদিমুল হারামাইনরা অন্তত এই জায়গায় দুনিয়ার স্রেষ্ট মানুষদেরকে নির্বাচন করবেন।
এখন থেকে এমন ধারণাও আর করা যাবে না, কারণ হেদায়াতের উপর অটল থাকা আল্লাহর ইচ্ছায় হয়ে থাকে, কোনো বিশেষ জায়গা বা বিশেষ এলাকার সাথে সম্পৃক্ত নয়।
কা’বার সাবেক ইমাম আদিল আল-কালবানী (আল্লাহ তাকে হেদায়াত করুক) ইমামতি ছেড়ে সিনেমায় শুটিং করছেন। কা’বার ইতিহাসে তিনিই একমাত্র কৃষ্ণবর্ণের ইমাম ছিলেন- যিনি ইমাম হওয়া প্রসঙ্গে বলেছিলেন- “ছোট বেলায় এমন কোনো দুষ্টুমি ও অপরাধ নেই যা আমি করিনি।
কিন্তু আমার মায়ের দুআ আমাকে কা’বার ইমাম বানিয়েছে। কেননা, যখনই আমি কোনো দুষ্টুমি করতাম তখন আমার মা গালি না দিয়ে বলতেন- আল্লাহ তোকে কা’বার ইমাম বানাক।” আমরা বলতে চাই না যে তার মায়ের এই দুআ সমূহ প্রতিফলিত হয়ে বদ দুআর রূপ ধারণ করেছে।
আল্লাহ হয়তো এই বাস্তবতা উপলব্দির জন্যই তাকে লাইচ্যুত করেছেন যে, কা’বার ইমাম হয়ে গেলেই কেউ ত্রুটি মুক্ত হয়ে যায় না।
বরং সর্বদা হেদায়াতের উপর রাখা ও হেদায়াতের উপর থাকা আল্লাহর ইচ্ছায়ই হয়ে থাকে।
তাই সর্বদা মু’মিন বান্দার জন্য হেদায়াতের উপর থাকার দুআ ও রাখার জন্য আল্লাহর কাছে কামনা করতে হবে।
বিল আখের খাদিমুল হারামাইনদের ইমাম নির্বাচনের উপর অভিযোগ থেকে যায়, ইমাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে তারা সালাফদের মানহাজের উপর রয়েছে কি না? দরবারের তোষামোদি ইমারাই স্থান পাচ্ছে কি না এমন প্রশ্নও আমাদের মনে যৌক্তিকভাবে আসার সুযোগ রয়ে যাচ্ছে। কেননা, সত্য উচ্চারণের দরুণ নিকট অতীতে অনেক ইমামকে কারাবরণ করতেও আমরা দেখেছি।
للَّهُمَ حَبَّبْ إِلَيْنَا الْإِيمَانَ وَزَيِّنْهُ فِي قُلُوبِنَا، وَكَرِّهْ إِلَيْنَا الْكُفْرَ وَالْفُسُوقَ وَالْعِصْيَانَ، وَاجْعَلْنَا مِنَ الرَّاشِدِينَ
اللَّهُمَّ يا مُقَلِّبَ القُلُوبِ ثَبِّتْ قُلُوبَنَا على دِيْنِكَ، ويا مُصَرِّفَ القُلُوبِ صَرِّفْ قُلُوْبَنَا على طَاعَتِك