বিশ্বে বায়ুদূষণে আবারও শীর্ষ অবস্থানে উঠে এসেছে ঢাকা।
সময় সংগ্রহ
সোমবার (২২ নভেম্বর) বৈশ্বিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজধানীর বাতাসের গুণমান সূচক (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই) দূষণের তালিকায় শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে। যার অর্থ ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
ঢাকার সঙ্গে দূষণের শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে রাজধানীর বায়ুর মান ছিল ১৮০, যা বায়ুমান সূচকে ‘অস্বাস্থ্যকর’। ঢাকায় বায়ুদূষণের উপাদান অতি সূক্ষ্ম বস্তুকণা পিএম–২.৫–এর উপস্থিতি স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে প্রায় ২৭ গুণ বেশি।
সাধারণত ১০০ এবং ২০০-এর মধ্যে একিউআই ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচিত হয়। একইভাবে ২০১ এবং ৩০০-এর মধ্যে ‘খারাপ’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
দৈনিক বায়ুর গুণমান নির্ণয়ের জন্য একিউআই একটি সূচক। সরকারি সংস্থাগুলো একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটা পরিষ্কার বা দূষিত এবং এ জন্য স্বাস্থ্যের উপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বা তা উদ্বেগের কারণ হতে পারে কি-না তা জানতে এই সূচকটি ব্যবহার করে থাকে।
বাংলাদেশের সামগ্রিক একিউআই পাঁচটি দূষণকারী মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে নির্ণয় করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- কণা পদার্থ (পিএম১০ এবং পিএম২.৫), কার্বন মনোঅক্সাইড, কার্বন ডাইঅক্সাইড, সালফার ডাইঅক্সাইড এবং ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণ সমস্যায় জর্জরিত। সাধারণত, জুনের মাঝামাঝিতে বর্ষাকাল শুরু হলে ঢাকার বাতাস সতেজ হতে শুরু করে। জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বায়ু নির্মল থাকে।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হচ্ছে, ইট ভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া এবং নির্মাণাধীন স্থাপনার ধুলো।
শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে শহরের বাতাসের গুণমানের দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে। নির্মাণাধীন স্থাপনা, ভাঙাচোরা রাস্তা, ইট ভাটা এবং অন্যান্য উৎস থেকে দূষিত কণা প্রচুর পরিমাণে বাতাসে মিশে যাওয়ার কারণে এমন হচ্ছে।