একটি ভিত্তিহীন কাহিনী!
আল-আমীন রহমানি

“হে কবর, আজ তোমার মধ্যে কে আসছে জান? দো জাহানের বাদশাহের মেয়ে, হজরত আলীর স্ত্রী, হাসান হোসাইনের মা, জান্নাতের সর্দারনী, খবর্দার বেয়াদবি করোনা।”
আল্লাহ্ কবরের জবান খুলে দিলেন। কবর বলল, “আমি দো জাহানের বাদশাহের মেয়েক চিনিনা, হজরত আলীর স্ত্রীকে চিনিনা, হাসান হোসাইনের মাকে চিনিনা, জান্নাতের সর্দারনীকে চিনিনা, আমি শুধু চিনি ইমান আর আমল।”
উক্ত ঘটনাটি কোন গ্রহণযোগ্য হাদীসের কিতাবে পাওয়া যায় না। এ ঘটনাটি কোন বিশুদ্ধ সনদে প্রমাণিতও নয়।তাই এটি একটি বানোয়াট বর্ণনা হিসেবেই প্রতীয়মান হয়।
উপরোক্ত কথাগুলো কোন সাধারণ মুসলিমই বলতে পারে না। কারণ যেখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিক্ষা হল, নিজের আমল দ্বারা নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করতে হবে। কোন ব্যক্তি পরিচয়, বা আত্মীয় হওয়া মৃত্যুর পর কাজে লাগবে না। যেমনটি হযরত রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবদ্দশায়ই প্রিয়তম কন্যা ফাতেমা রা.কে বলে গেছেন-
يا فاطمة! أنقذي نفسك من النار، فإني لا أملك ضرا ولا نفعا.
হে ফাতিমা! জাহান্নামের আগুন থেকে নিজেকে রক্ষা কর। কেননা, আমি উপকার-অপকারের মালিক নই। (সহীহ মুসলিম ২/১১৪)
যা পরিস্কার প্রমাণ করে উপরোক্ত ঘটনাটি কোন সাহাবী থেকে সংঘটিত হওয়া সম্ভপর নয়। এটি একটি বানোয়াট বর্ণনা। যা বর্ণনা করা থেকে বিরত থাকা জরুরী।
লেখক; মাওলানা আল-আমীন রহমানি