বাবরির পর আর কোন মসজিদ হারাতে চাই না: ওয়েইসি
সময় সংগ্রহ
বারাণসীতে বাবা বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরে থাকা জ্ঞানবাপী মসজিদের সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই নির্দেশের তীব্র রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া হয়েছে।
আগামী ১৭ মে-র মধ্যে জ্ঞানবাপী মসজিদ ও তার চারপাশের এলাকার ভিডিও সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে বারাণসীর আদালত। এরপরই এআইএমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি জানিয়েছেন— “আমরা আর কোন একটি মসজিদ হারাতে চাই না।” শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত মনে করেন— “রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্যই এই সব ঘটনা ঘটছে।” কিন্তু বিজেপির কট্টর নেতা কপিল মিশ্র বলেছেন— “সত্যকে চেপে রাখা সম্ভব নয়। সত্য সামনে আসবেই।”
আসাদুদ্দিন ওয়েইসি জানিয়েছেন— বারাণসীর আদালত যে রায় দিয়েছে, তা ১৯৯১ সালের প্লেসেস অফ ওয়ারশিপ আইনের সম্পূর্ণ বিরোধী। কারণ, এই আইন অনুসারে কোনো ধর্মের উপাসনার জায়গাকে কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। তাছাড়া এই নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিপরীত বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
ওয়েইসি বলেছেন— “বাবরির পর আমরা নতুন করে কোনো মসজিদ হারাতে চাই না।” তার আশা— “মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এবং মসজিদ কমিটি সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন জানাবে।”
বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র বলেছেন— “সবাই জানে জ্ঞানবাপীর ভিতরে কী আছে। কৃষ্ণজন্মভূমি বা ভোজশালা অথবা কুতুব মিনার কিম্বা তাজমহলের পিছনের সত্যও সকলের জানা। এই সত্যকে ধামাচাপা দিয়ে রাখা যাবে না।”
বিশ্ব হিন্দু পরিষদেরও বক্তব্য— “আদালতের নির্দেশের ফলে সত্য প্রকাশ পাবে। সংগঠনের মুখপাত্র বিনোদ বনশল বলেছেন— “পাঁচদিনের মধ্যে সমীক্ষা করে আদালতের সামনে সত্য তুলে ধরা হবে। সব পক্ষের উচিত এই কাজে সহযোগিতা করা।”
শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেছেন— “রামমন্দিরের পর দেশে শান্তি দরকার। কিন্তু রাজনৈতিক স্বার্থে এই সব ঘটনা ঘটছে। এর ফলে দেশ টুকরো টুকরো হয়ে যেতে পারে।”