নবী সা. কে অসম্মান সন্ত্রাসী আচরণ: আল-আজহার
সময় সিলেট ডেস্ক
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. কে অসম্মান করা সন্ত্রাসী আচরণের শামিল বলে জানিয়েছে মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়। এক বিবৃতিতে ভারতের বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে নূপুর শর্মার বক্তব্যকে ‘সন্ত্রাসী আচরণের’ সঙ্গে তুলনা করে বলা হয়েছে— এমন আচরণ ‘পুরো বিশ্বে ভয়াবহ সংকট তৈরির উস্কানি’। খবর বিবিসির
আল-আজহারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে— ‘কিছু কট্টর লোকজনের ভোটের জন্য ইসলামের এমন অবমাননা উগ্রবাদের সমার্থক। এর ফলে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে পারস্পরিক ঘৃণা এবং অবিশ্বাস জন্ম নেবে।’
এক টিভি সাক্ষাৎকারে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মুখপাত্র নুপুর শর্মা। এই ঘটনায় শুরুতে বিজেপি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বরং মুসলিমরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ তাদের দমন করে। তবে মধ্যপ্রাচ্যসহ মুসলিম দেশগুলোর কঠোর বার্তা দেয়ার পর নিজেদের চেহারা পুরোটাই পাল্টে ফেলেছে বিজেপি।
মহানবী সা. কে নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির একজন নেতা এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত এক মন্তব্য নিয়ে সেদেশের মুসলমান এবং বিরোধীরা গত কয়েকদিন ধরে হৈচৈ করলেও সরকার তাতে বিন্দুমাত্র কান দেয়নি। কিন্তু দু’দিন আগে কাতার সরকার দোহাতে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে বিজেপি মুখপাত্রের বক্তব্য নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলার পর নরেন্দ্র মোদীর সরকার নড়েচড়ে বসে।
কুয়েত, বাহরাইন, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), সৌদি আরব থেকে শুরু করে এক ডজনেরও বেশি মুসলিম দেশ একে একে ক্ষোভ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। কারো কারো বিবৃতির ভাষা বেশ কড়া। আরব বিশ্বে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে কুয়েতে দোকানপাটে ভারতীয় পণ্য বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে।
আমেরিকা’সহ কিছু পশ্চিমা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বারবার ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার প্রসার নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, কিন্তু বিজেপির সরকার তাতে বিন্দুমাত্র কান দেয়নি। তবে এবার এ নিয়ে বড় ধাক্কা খেলো বিজেপি ও মোদি সরকার।