‘কানাইঘাটে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা রাজনৈতিক সম্প্রীতি নষ্ট করছে’
সময় সিলেট ডেস্ক
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে— কানাইঘাটে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য তেল-গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত মিছিলে হামলা ও পরবর্তীতে অফিসের তালা ভেঙে আসবাবপত্র জ্বালিয়ে দিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।
তাদের অভিযোগ— প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে মিছিল করার পরও তারা হামলা করে বিএনপির ১০-১৫ জন নেতাকর্মীকে আহত করে। কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, মেয়র লুৎফুর রহমানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা ন্যাক্কারজনক ওই ঘটনা ঘটায়। তারা উপজেলায় দীর্ঘদিনের রাজনৈকি সম্প্রীতি নষ্ট করছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে কানাইঘাট উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন কানাইঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুন রশীদ।
সংবাদ সম্মেলনে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
বক্তব্যে বলা হয়— গত সোমবার (১৩ জুন) কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য তেল-গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারা দেশের থানা/উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। সেই কর্মসূচি অংশ হিসেবে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করে কানাইঘাট উপজেলা ও পৌর বিএনপি যৌথ উদ্যোগে কানাইঘাট পূর্ব বাজার দলীয় কার্যালয়ের সম্মুখ হতে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল বের করে। মিছিলটি সামান্য অগ্রসর হতেই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সরকারদলীয় সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের আব্দুর রহমান, রুমান ও জুনেদ হাসান জীবনের নেতৃতত্বে শতাধিক নেতাকর্মী মিছিলে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। হামলায় উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক খছরুজ্জামান পারভেজ, পৌর বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি রুমান সিদ্দিকী, জুয়েল চৌধুরী, শামীম চৌধুরী, বুলবুল আহমদ, ছাত্রদল নেতা রাসেল চৌধুরী, শামীম আহমদ, যুবদল খায়রুল ইসলাম, রুবেল, আনোয়ারসহ দলের অন্তত ১০/১৫ জন নেতাকর্মী মারাত্মকভাবে আহত হয়।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে জানান— বিএনপির নির্ধারিত মিছিল ও পথসভা শেষে নেতাকর্মীরা নিজ গন্তব্যে চলে যাওয়ার প্রায় দুই ঘন্টার পর কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র লুৎফুর রহমানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী কানাইঘাট পূর্ব বাজারে দলীয় উপজেলা ও পৌর কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে ফেলে। তারা বিপুল সংখ্যক চেয়ার টেবিল, অন্যান্য আসবাবপত্র এমনকি শহীদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমান, চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের ছবি ভাংচুর করে প্রকাশ্যে বাজার পয়েন্টে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর আগেও কানাইঘাটে গণঅধিকার পরিষদের কিছু নেতাকর্মীকে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে আহত করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে নেতৃবৃন্দ জানান— তাদের মিছিল থেকে সরকার বা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো স্লোগান বা বক্তব্য দেওয়া হয়নি। মিছিল শুরুর প্রাক্কালেই তারা হামলা করে। নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে মামলা করবেন উল্লেখ করে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— জেলা বিএনপির সহসভাপতি আশিক উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক সহসভাপতি মামুন রশিদ মামুন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়ছল, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা যুবদলের আহবায়ক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, কানাইঘাট পৌর বিএনপির সভাপতি নুরুল হোসেন বুলবুল, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক, পৌর সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা ওয়েছ আহমদ, রুমান সিদ্দিকী, জালাল আহমদ জনি, দেলওয়ার ইসমাইল, রাশেদুল হাসান টিটু, শফিক আহমদ, হেলাল আহমদ, শামীম আহমদ, যুবদল নেতা মামুন রশিদ, আব্দুস সালাম, সাহেদ আহমদ প্রমুখ।