ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সিলেটে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি : ভোগান্তি
বিশেষ সংবাদদাতা
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে সারা দেশের মতো সিলেটে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী লোকজন। গত সোমবার সকাল থেকে সিলেটে শুরু হয় বৃষ্টি। ফলে সড়কে যানবাহন কম দেখা যায়। দোকানপাটও খুলতে দেরি করেন ব্যবসায়ীরা। দিনভর কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি আবার কখনো ছিলো ঝড়ো হাওয়া। ফলে সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট ছিলো ভয়াবহ। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
সরেজমিনে সিলেট নগরীর বন্দরবাজার, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, লামাবাজার, আম্বরখানা ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে অফিসগামী মানুষ, ব্যবসায়ী ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন বেকায়দায়। একটানা বৃষ্টির কারণে নগরীর মানুষজন খুব একটা ঘর থেকে বের হননি। যারা একেবারেই বাসা থেকে বের না হয়ে পারছেন না তারাই ছুটছেন এই বৈরী আবহওয়ার মধ্যে।
সোমবার সকালে নগরীর মদীনা মার্কেটে কথা হয় নির্মাণ শ্রমিক রফিকুল ইসলামের সাথে। তিনি জানান— নির্ধারিত জায়গায় বসে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করছেন, তবে কোন ঠিকাদার আসেননি। এ জন্য তার আর কাজে যাওয়া হয়নি।
আব্দুল বারী নামের অপর এক শ্রমিক বলেন— দিনে আনি দিনে খাই, হাতে কোন টাকা নেই। আগামী কালও এরকম আবহাওয়া থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে পরিবার পরিজনকে নিয়ে। সকাল ১০টায় মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন মধুবন সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী রিয়াজুল ইসলাম। অপেক্ষা করছেন কর্মচারীর জন্য। তিনি বলেন— দোকানপাটে এমনিতেই বিকি কিন কম। সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। দোকান খুললেও কাস্টমারদের উপস্থিতি কম হবে।
সন্ধ্যায় নগরীর মিরবক্সটুলা এলাকায় কথা হয় রিকশা চালক আব্দুল রহিমের সাথে। সে ছিলো গোয়াইনঘাটের কোয়ারির পাথর শ্রমিক। কোয়ারি বন্ধ থাকায় গত ২/৩ মাস থেকে রিকশা চালাচ্ছে। আব্দুর রহিম জানায়, ঘরে খাওয়ার চাল নেই, তাই খারাপ আবহওয়ার মধ্যে সে রিকশা নিয়ে বেরিয়েছে। বৃষ্টির কারণে সড়কে মানুষের ভিড় অন্যদিনের তুলনায় কম লক্ষ্য করা গেছে। যানবাহন কম হওয়ায় জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষ বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েন।