কমলগঞ্জে কৃষিতে আধুনিকায়ন : সুফল পাচ্ছেন কৃষকরা
সময় সংগ্রহ
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কৃষিতে বেড়েছে আধুনিক কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার। চলতি আমন মৌসুমে উপজেলার কৃষকেরা কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মাধ্যমে ব্যাপক হারে জমি থেকে ধান কাটমাড়াই করছেন তারা। ফলে একদিকে সময় ও খরচ বাঁচায় অন্যদিকে শ্রমিক সংকটের অভাব কিছুটা দুর হচ্ছে।
উপজেলার কৃষকেরা জানান— বিশেষ করে আমন মৌসুমে শ্রমিকের তীব্র সংকট দেখা দেয়। সময়মতো ধান কাটামাড়াই করা যায় না। আধুনিক কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার দিনদিন বাড়ছে। কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মাধ্যমে একসাথে ধান কাটামাড়াই করা যাচ্ছে। এতে করে আমরা কৃষকদের খরচ ও সময় অনেক কম লেগেছে। গত দুবছর ধরে কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মাধ্যমে অনেক কৃষক উপকারিতা হয়েছেন বলে তারা জানান।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়— গত দুই বছরে এ উপজেলায় হাওর ও ননহাওর এলাকায় ১১টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার আধুনিক মিশন বিতরণ করা হয়েছে। হাওর এলাকায় সরকার ৭০ শতাংশ ও নন-হাওর এলাকায় ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দিয়েছে। এ মেশিন ধারা কৃষকেরা অতি সহজে ধান কাটা মাড়াই করতে পারেন। শুধু এই মেশিম নয় সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে আরও অনেক ধরনের কৃষি যন্ত্র প্রদান করা হয়েছে। যে কোন কৃষক ভাড়ার মাধ্যমে এ যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে কৃষিতে আরও নতুন কৃষি যন্ত্রের প্রয়োগ হবে।
সরেজমিনে উপজেলার পতনঊষার, শমশেরনগর, রহিমপুর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়— কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কম্বাইন্ড হারভেস্টার আধুনিক মেশিন দিয়ে ধান কাটছেন। এ মেশিন ধান কাটার পাশাপাশি একইসাথে মাড়াই এবং খড়কে বের করছে। বিশেষ করে শ্রমিক সংকট কিছুটা দুর হচ্ছে বলে কৃষকেরা জানান।
পতনঊষার ইউনিয়নের কৃষক ইয়াওর আলী বলেন— শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটতে আমার বিলম্ব হয়েছে। পরে কম্বাইন্ড হারভেস্টার এর মাধ্যমে ১ একর জমির ধান কাটামাড়াই করেছি ৪ হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে। এতে আমার কিছু খরচ, সময় ও শ্রমিক সংকট দুর হয়েছে।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান বলেন— এ উপজেলায় ১১টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন আছে। একদিনে ৮ থেকে ১০ একর জমির ধান কাটামাড়াই ও পরিষ্কার করতে পারে। এতে কৃষকে খরচও কম হয় অন্যদিকে শ্রমিক সংকট দুর হয়। সরকার কৃষিতে অল্প খরচে বেশি ফসল উৎপাদন বাড়ানো জন্য বিভিন্ন ধরনের কৃষিযন্ত্র ভর্তুকি প্রদান করছে।