কুশিয়ারার ভাঙনে বিলীন সড়ক : আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদীপাড়ের হাজারো মানুষ
অতিথি সংবাদদাতা
গোলাম সারোয়ার, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে রানীগঞ্জ ইউনিয়নের বালিশ্রী গ্রামের একমাত্র সড়কটি। এখন ভাঙনের মুখে রয়েছে শতাধিক বসতঘর। আর এতে করে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের। নদী ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে কুশিয়ারাপাড়ের কয়েক হাজার মানুষের। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো গ্রাম নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়— প্রায় ২০০০ সালে কুশিয়ারা নদীতে ভাঙন দেখা দেয়। বার বার রাস্তার স্থান পরিবর্তন করেও ভাঙন রোধের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই বছর গ্রামের একমাত্র রাস্তাটি নদীগর্ভে চলে যায়। অব্যাহত ভাঙনে গত বছর চারটি বসতঘরও চলে যায় নদীগর্ভে। ভাঙন অব্যাহত থাকায় গ্রামের দু’ শতাধিক নারিকেল, সুপারি গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছও নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে— রাস্তা বিলীন হয়ে যাওয়ায় লোকজন চলাচল করছেন নদীর পাড় ধরে। কিছু স্থানে বাড়িঘরের উঠানের ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এবার বর্ষার শুরুতেই ভাঙন শুরু হওয়ায় ১০ থেকে ১৫টি বাড়িঘরের উঠোন ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে ঘর চলে যেতে পারে। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীসহ প্রায় দশ হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে আসছেন।
বালিশ্রী গ্রামের জিয়াউর রহমান বলেন— প্রতি বছর নদী ভাঙনে নদীর পাড়ের লোকজন আতঙ্কে থাকেন। ইতোমধ্যে অনেক পরিবারের ঘর নদীগর্ভে চলে গেছে। যেভাবে ভাঙন চলছে দ্রুত রোধ করা না হলে গ্রামের আরও অনেক বাড়িঘর নদীর গর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসাইন বলেন— আমরা নদী ভাঙন এলাকা পরির্দশন করে আসছি। নদীভাঙন রোধে কাজ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বার বার বলে আসছি। আমাদের উপর মহলকে জানিয়েছি, আশা করি এ ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করবেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মো. ছদরুল ইসলাম বলেন— আমি ও আমার ইউপি সদস্য বালিশ্রী গ্রামের নদী ভাঙ্গনের স্থান দেখে আসছি। আমার ইউনিয়নের দশ থেকে বার হাজার লোকজন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে পানি উন্নয়ন বোর্ড’সহ উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছি। আমি পরিকল্পনামন্ত্রী মহোদয়ের নিকট এই বিষয়ে আলোচনা করব আশা করি ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।