পতিত জমিতে প্রবাসী শরীফ উদ্দিনের সমন্বিত কৃষি খামার
অতিথি সংবাদদাতা

দেশী মোরুগকে খাবার দিচ্ছেন মো. শরীফ উদ্দিন । ছবি : সংগৃহীত
জাহিদ উদ্দিন, গোলাপগঞ্জ (সিলেট) থেকে : পতিত জমিকে কাজে লাগিয়ে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ৯নং পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের ধারাবহর গ্রামে এক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী গড়ে তুলেছেন ইতালীয়ান পোল্ট্রি ও ফিসারীজ এগ্রো ফার্ম লিমিটেড।
পতিত জমিকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে উদ্যোক্তা হওয়া যায় তার উদাহরণ হচ্ছেন গোলাপগঞ্জের মো. শরীফ উদ্দিন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে এসে তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করেন কিভাবে তার পতিত জমিগুলো কাজে লাগাবেন।
২০১৩ সালে উপজেলার ধারাবহর গ্রামের ৪০ একর জমিতে তৈরী করেন ইতালীয়ান পোল্ট্রি ও ফিসারীজ এগ্রো ফার্ম লিমিটেড। এই ফার্মে তিনি বানিজ্যিক ভাবে দেশি-বিদেশি মুরগি পালন, একোরিয়ামের মাছ, দেশি হাস, আনারসের বাগান গড়ে তুলেছেন ।

খামারে আছে বিভিন্ন জাতের বিদেশি মোরগ । ছবি : সংগৃহীত
ইতিমধ্যে তার ফার্ম থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারা এসে সূলভ মূল্যে একোরিয়ামের মাছ, দেশি হাস, দেশী বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির মুরগি ও ডিম পাইকারি মূল্য ক্রয় করছেন।
মো. শরীফ উদ্দিন বলেন— খামারটি আসলে সম্বলিত কৃষি খামার। আমারা চেষ্টা করছি খামারটি অর্গানিক ভাবে গড়ে তুলার এবং ভবিষ্যৎতে এখানে একটি রিসোর্টও গড়ে তুলার চিন্তাভাবনা করছি।

খোলামেলা পরিবেশে হাঁস পালন । ছবি : সংগৃহীত
মো. শরীফ উদ্দিন গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঘা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন থেকে প্রবাসে ছিলেন। তার এমন উদ্যোগ দেখে এখন অনেকেই উদ্বুদ্ধ হয়ে পতিত জমি ও টিলা কাজে লাগানোর জন্য আগ্রহী হচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিক জাবেদ মাহমুদ বলেন— প্রবাসী শরিফ উদ্দিনের এমন উদ্যোগ বেকার যুবকদের উদ্যোক্তা হতে উৎসাহ প্রদান করছে। আমাদের এলাকায় অনেক পতিত জমি রয়েছে। যেগুলো কাজে লাগালে আর্থিক সচ্ছলতার পাশাপাশি অনকে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

খামারে থাকা একোরিয়ামের মাছ । ছবি : সংগৃহীত
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মাশরেফুল আলম জনান— মো. শরিফ উদ্দিনের এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। গোলাপগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসও পতিত জমি কাজে লাগাতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পতিত জমি কাজে লাগাতে বিভিন্ন ভাবে কৃষকদের উৎসাহ, সাহায্য ও পরামর্শ প্রদান করে আসছি।