আমার স্বপ্ন ও আমি : একজন রাজনীতিকের স্বপ্ন ও আজকের বাংলাদেশ
ফকির ইলিয়াস
একটি আত্মজীবনী যখন অনেকগুলো জীবনকে আলোর পথ দেখায়, তখন তা হয়ে ওঠে অনেক মানুষের সাহসের দর্পণ। মানুষ সেই আলোতে নিজের মুখ দেখতে চায়। চায় বীক্ষণ করতে নিজের জীবনের বিভিন্ন বাঁক। আবুল হাশেম মূলত একজন মহান দীক্ষক। পরিশুদ্ধ সমাজ ও প্রজন্ম বিনির্মাণের প্রত্যয়ে তিনি রাজনীতি করেছেন। ইংল্যান্ডের মতো দেশে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করেছেন। পরবাসে প্রজন্মকে শাণিত করেছেন, বাঙালিত্ব ও শিকড়ের সন্ধানে।
‘আমার স্বপ্ন ও আমি’- ১৪৩ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থে রাজনীতিক ও শিক্ষক আবুল হাশেম মূলত একজন প্রকৃত বাঙালির জীবনের আখ্যানকে বর্ণনা করেছেন সত্য ও সাহসিকতার সঙ্গে। এই বইটি শ্রুতিলিখন করেছেন একজন কৃতি লেখক, সাংবাদিক, শব্দজন সুজাত মনসুর। যে মহান কাজটি করে তিনি একটি ইতিহাসকে লিপিবদ্ধ করার প্রয়াসী হয়েছেন।
এই গ্রন্থটি দুটি ভাগে বিভক্ত। স্বদেশ জীবন ও প্রবাস জীবন। এর আগে রয়েছে লেখকের ‘শুরুর কথা’। স্বদেশ জীবন পর্বে রয়েছে, মাদরাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, ঐতিহ্যবাহী বিউটি বোর্ডিং, শিক্ষকতা স্বদেশে, সুপারের দায়িত্বে, শিক্ষকতা-জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতা স্বদেশে, কনে দেখা, নির্বাচনী প্রচারণা ও বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা,ও শিল্পঋণ সংস্থার পরিচালক।
আর প্রবাস জীবন পর্বে রয়েছে- শিক্ষকতা ও অধ্যয়ন প্রবাসে, শিক্ষকতা জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতা প্রবাসে, ভাসানী, সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে, সার্বক্ষণিক রাজনীতি, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, বঙ্গবন্ধু যেদিন শহীদ হলেন, বঙ্গবন্ধু তনয়াদের সান্নিধ্যে, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব, আমার গর্ব আমার পরিবার, যাদের সান্নিধ্য আমাকে উজ্জীবিত করে, দিলচাঁদ ও মহারাণী রেস্টুরেন্ট।
এই বইটিতে লেখক ‘শুরুর কথা’ অধ্যায়ে বইটি লেখার প্রেক্ষাপট ও তার জীবনের নানা বাঁকের কথা লিখেছেন চমৎকারভাবে। লেখকের নিজের মুখেই কিছু অংশ শোনা যাক- “স্বপ্ন দেখা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই মানুষ স্বপ্ন দেখা শুরু করে। স্বপ্নগুলো হয় নানা বর্ণের, নানা আকারের। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বপ্নের আকার, বর্ণ, পরিধিরও পরিবর্তন হয়। ডালপালা বিস্তার করে। স্বপ্নের গতি-প্রকৃতি পরিবর্তনের পাশাপাশি স্বপ্নের দিকে ধেয়ে চলার গতি-প্রকৃতিরও পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তন নির্ভর করে সময়, সুযোগ, পরিবেশ, পরিস্থিতি, সক্ষমতা কিংবা ব্যক্তি, পরিবার বা সমাজের প্রভাব দ্বারা। সহজাত কারণেই আমিও একজন স্বপ্নচারী মানুষ। অন্যদের মতোই স্বপ্নের পেছনে ছুটে চলেছি জ্ঞান হওয়া অবধি এবং এখনো ছুটে চলি স্বপ্নের পেছনে। স্বপ্ন ছিল এবং আছে বলেই বেঁচে আছি। যদিও কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে এখনো পৌঁছাতে পারিনি। বহু স্বপ্নই এখনো অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। তেমনি এক স্বপ্নের পেছনে ছুটতে ছুটতেই একদিন চলে এসেছিলাম সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে বিলেতের মাটিতে। ইচ্ছে ছিল বিলেত থেকে উচ্চতর শিক্ষা নিয়ে ফিরে যাব দেশের মাটিতে। অর্জিত জ্ঞান বিলিয়ে দেব প্রিয় শিক্ষার্থীদের মাঝে। কিন্তু সে ইচ্ছা বা স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। অধরাই থেকে গেল। ভগ্নহৃদয় নিয়ে তাই থেকে যেতে হলো বিলেতে। আমিই শুধু নই, আমার মতো হাজারো মানুষেরও একই পরিণতি।”
এই শুরুর কথাতে লেখক, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ছয় দফা-এগারো দফা দাবি, উনসত্তরের গণ আন্দোলন, সত্তরের নির্বাচন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধপরবর্তী জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যাকান্ড, সামরিক জান্তাদের দুঃশাসন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন, নিজের আওয়ামী লীগের রাজনীতিপর্ব, বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ আছে। লেখক হতাশ হয়েছেন, কিন্তু হাল ছাড়েন নি। এসব কথা নিয়ে তিনি লিখেছেন-
“জানতে পারলাম, ভাষাগত সমস্যাই হলো মূল অন্তরায়। আমাদের ইংরেজি একসেন্ট বুঝতে ছাত্রদের অসুবিধা হয়, তাই শিক্ষকতার মূল চাকরি পাওয়া যায় না। অগত্যা উপায়ন্তর না দেখে সহকারীর পদে নিয়োগই সান্ত¡না পুরস্কার হিসেবে বেছে নিতে হয়। আমাকেও সেই পথেই যাত্রা শুরু করতে হয়েছিল। যখনই বন্ধুদের কাছ থেকে চাকরিসংক্রান্ত হতাশাজনক সংবাদটি অবহিত হলাম তখনই মনটা অনেক খারাপ হয়ে গেল। এমনিতেই হোম সিকনেস নামক বস্তুটি তখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনি। কর্মস্থল, সহকর্মী, রাজনৈতিক সতীর্থ, ছাত্র, বাবা, চাচা, ভাইবোন, বন্ধু-বান্ধব, সর্বোপরি নববিবাহিতা স্ত্রী তাদের কথা মনে পড়ত। ভাবতাম তাহলে কি স্বপ্ন নামক মরীচিকার পেছনে ছুটে ভুল করলাম? দেশে শিক্ষকতার মতো একটা সম্মানজনক পেশায় নিয়োজিত ছিলাম। তাও কলেজের শিক্ষকতা। সবাই সমীহ করে স্যার স্যার বলে সম্বোধন করত। তাদের মধ্যে অনেকেই ছিল ঢাকা শহরে বিশেষ করে পুরান ঢাকায় দাপুটে ছাত্রনেতা। যাদের মধ্যে এলাহি, ইব্রাহিমের নাম মনে আছে। তারা এমনই দাপুটে ছিল যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খানের ছাত্রসংগঠনের সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করার জন্য তাদের সহায়তা নেওয়া হতো। আমি ডিগ্রি ক্লাসে পড়াতাম। কলেজের ছাত্রলীগের দায়িত্বে ছিলাম। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সম্মান করত। যদিও জগন্নাথ কলেজে শিক্ষকতা করতাম না, তবু জগন্নাথ কলেজের তৎকালীন ছাত্রলীগের ডাকসাইটে নেতারা যেমন রাজিউদ্দিন রাজু (সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী), বর্তমান শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনসহ অনেকেই আমার ভাবশিষ্য ছিল। আমার অনেক বন্ধু-বান্ধবই বিদেশ থেকে পিএইচডি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছে। আর আমাকে এখন ল্যাবরেটরি সহায়ক তথা ডেমোনেস্ট্রেরের কাজ করতে হবে প্রবাসজীবনের জীবিকা নির্বাহের জন্য।”
১৯৬৮ সালে ইংল্যান্ডে এসে এমন তীব্র প্রতিকূলতা পেরিয়েই এগিয়েছেন লেখক। যা পড়লে এই প্রজন্মের অনেকেই জানতে পারবে, একটি জীবনযুদ্ধের ইতিহাস। কীভাবে তাদের পূর্ব-প্রজন্ম কঠিন বাস্তবতা পেরিয়ে ঠাঁই নিয়েছিলেন বিলেতের বুকে।
রাজনীতিতে লেখককে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছেন তার পিতা জনাব আব্দুল আজিজ মুন্সি। একজন সৎ, মহান ও পরিশীলিত অধ্যবসায়ী হিসেবে পথচলার যে দীক্ষা পিতা তাকে দিয়েছিলেন- তা পদে পদে পালন করেছেন রাজনীতিক আবুল হাশেম। মাদ্রাসা থেকে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শেষ করা যে কত প্রতিকূলতা আমরা সকল বাঙালিরাই কমবেশি জানি। এই গ্রন্থের লেখক তেমনি একটি কঠিন সাঁকো পেরিয়েছেন জীবনে। এই গ্রন্থটি পড়লে, আজকের অনেকেই সেই বিষয়গুলো অনুধাবন করতে পারবেন।
লেখকের একটি বড় স্মৃতিপর্ব আছে বিউটি বোর্ডিং এর সঙ্গে। আমরা জানি, এই বিউটি বোর্ডিং ঘিরে বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিকদেরও একটা অন্যতম আড্ডা জমতো। এখানে আজকের অনেক রাজনীতিকও আড্ডা দিতেন, তেমনি একটি পুনর্মিলনীর বর্ণনা আমরা এই গ্রন্থে পাই। লেখক লিখেছেন-“২০১৯ এর প্রথম দিকে বিউটি বোর্ডিংয়ে একটা পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। আমাদের সময়ের অনেকই যোগদান করেছিল। যাদের মধ্যে বর্তমান শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ূন, বস্ত্রমন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর, সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ, আওয়ামী লীগের সাংসদ রহমতুল্লাহ ও নায়ক এমপি ফারুকসহ অনেকেই সেদিন উপস্থিত হয়ে স্মৃতি রোমন্থন ও খোশগল্পে মেতেছিলেন। আজ এ কথা বলতে আমার দ্বিধা নেই যে বিউটি বোর্ডিংয়ে অনেক আলোকিত মানুষের সান্নিধ্যে এসেছিলাম বলেই আমার জীবনে কিছুটা হলেও আলো ছড়াতে পেরেছি।”বাংলাদেশে শিক্ষকতা জীবনের প্রাঞ্জল বর্ণনা দিয়েছেন শিক্ষক আবুল হাশেম এই গ্রন্থে। একজন মানুষ প্রকৃত বিদ্বান হয়ে উঠবে- এটাই চাইতেন সেই সময়ের শিক্ষকরা। এই বিষয়টির ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছেন তার যাপিত জীবনের উদাহরণে।অনেক বিচিত্র অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি জানাতে চেয়েছেন তার জীবনের উজ্জ্বল দিনগুলোর কথা। লেখক তার ব্যক্তিগত জীবনের ঘটনাও লিখেছেন বেশ সহজ সরলভাবে। এসব প্রসঙ্গে কনে দেখা থেকে শুরু করে নিজের এলাকায় রাজনৈতিক প্রচারণা গণসংযোগ বিভিন্ন বিষয়ও স্থান পেয়েছে। সেখানে তার অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতার কথাও স্থান পেয়েছে অকপটে। লেখক শিল্পঋণ সংস্থার পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন। সেখানেও তার অভিজ্ঞতা আছে তিক্ত-মধুর। লেখককের জীবনের বৃহৎ অংশটি কেটেছে বিদেশে। ইংল্যান্ডে থিতু হলেও তার মন পড়েছিল বাংলার মাটিতেই। এই পর্বে তিনি তার শিক্ষকতা জীবনের বর্ণনা দিয়েছেন বিশদভাবে।
লেখক মাওলানা ভাসানী, সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পেয়েছেন সরাসরি। ১৯৫৭ সালে তিনি প্রথম দেখেন জাতির পিতাকে। এরপরে আরও দুবার বঙ্গবন্ধুকে দেখার তার সুযোগ হয় লন্ডনে। একসময়ের মুজিব ভক্ত সাংবাদিক সিরাজুর রহমান যে পরে নীতি পরিবর্তন করে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের দোসর হন- সেই কথাও উল্লেখিত আছে বইটিতে। তিনি ‘প্রবাসী’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন- তাও আমরা তার এই বইটি পড়ে জেনে যাই।
আবুল হাশেম যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অনেকগুলো সাহসী কাজ করেছেন সেই সময়ে। প্রাজ্ঞ রাজনীতিক শামসুদ্দিন খান যখন সভাপতি তখন আবুল হাশেম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন দলের একটি কঠিন সময়ে। দীর্ঘ ১৩ বছর তিনি পালন করেছেন সম্পাদকের দায়িত্ব। ২০১১ সালে সফল সম্মেলনের মাধ্যমে তার পরিষদ ক্ষমতা ছেড়ে দেয় অন্য কমিটির হাতে।লেখক ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি’ কিংবা ‘বঙ্গবন্ধু যেদিন শহীদ হলেন’- বর্ণনাগুলো লিখেছেন হৃদয়ের আকুতি দিয়ে। যা না পড়লে অনুধাবন করা যায় না- যাবে না।
লেখকের একটি আলোকিত সময় কেটেছে জাতির পিতার কন্যাদ্বয়ের সান্নিধ্যে। এই বিষয়গুলো তিনি লিখেছেন তার দীর্ঘ লেখাপর্বে। অনেক মহান রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে পথচলা হয়েছে তার। আব্দুস সামাদ আজাদ, আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, নুরুল হক ও মমতাজ বেগম, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, রাশেদ সোহরাওয়ার্দী প্রমুখের কথা উল্লেখ আছে এই গ্রন্থে। ‘আমার গর্ব আমার পরিবার’ পর্বে লেখক নিজের শিকড়ের সন্ধান খুঁজেছেন। জানিয়েছেন নিজের ঐতিহ্যের কথা। বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে তার মেয়ের ভূমিকার কথা লিখে তিনি নতুন প্রজন্মকে সাহস জুগিয়েছেন।
বিলেতে বাংলাদেশ, বাংলা সংস্কৃতি-রাজনীতির অনেক উল্লেখযোগ্য মিলনস্থল হলো বাঙালি মালিকানাধীন রেস্টুরেন্টগুলো। লেখার শেষপর্বে খ্যাতিমান দিলচাঁদ, মহারাণী রেস্টুরেন্টের কথা তিনি এনেছেন ঐতিহাসিক কাল বিবেচনায়।
বইটিতে অনেকগুলো ছবি স্থান পেয়েছে। পারিবারিক ছবির পাশাপাশি রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ছবিও। যা বিশেষ দলিল হিসেবেই বিবেচিত হবে আগামী সময়ে। ঝরঝরে বর্ণনায়, নিখুঁত ছাপাক্ষরে বইটি পাঠককে সহজেই কাছে টানবে।
এই মহামারীকালীন সময়ে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বইটি ঢাকা থেকে প্রকাশ করেছে খ্যাতিমান প্রকাশনা- ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ। উজ্জ্বল প্রচ্ছদ এঁকেছেন এই সময়ের সুপরিচিত শিল্পী- সৈয়দ আতিকুর রহমান। মূল্য রাখা হয়েছে ৩০০ টাকা। বইটি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের বুকশপ ছাড়াও অনলাইনের বিভিন্ন আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে।
একটি সমাজ তখনই এগোয়, যখন সমাজের সকল মানুষ নিজ নিজ প্লাটফর্ম থেকে সৃজনশীলতায় এগিয়ে আসে। একটি বিজয়ের জন্য একটি টিমকেই উইন করতে হয়। এই বইটির শ্রুতিলিখন করে সাহিত্যিক সুজাত মনসুর একজন অভিজ্ঞ টিম প্লেয়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন। এজন্য আমি তাকে সাধুবাদ জানাই।
শিক্ষক-রাজনীতিক আবুল হাশেম একটি বর্ণাঢ্য জীবনের সাক্ষী। তার এই কররেখা আগামী প্রজন্মকে পথ দেখাবে নিঃসন্দেহে। বইটি লিখে প্রকৃতপক্ষে তিনি প্রজন্মের জন্যেই দীপশিখা রেখে যাচ্ছেন। আমি বইটির বহুল পঠন ও প্রচার আশা করছি।
লেখক : কবি, কলামনিস্ট ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। oronik@aol.com
[বি.দ্র : মুক্তকথন বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব, এর সাথে ‘দৈনিক সময় সিলেট’ এর সম্পাদকীয় নীতিমালা সম্পর্কিত নয়। ‘দৈনিক সময় সিলেট’ সকল মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে মুক্তকথনে প্রকাশিত লেখার দায় ‘দৈনিক সময় সিলেট’ এর নয়।]